চীনের অভাবনীয় ফোন নেটওয়ার্কের নেপথ্যে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি বিস্তারে নেতৃত্ব দিতে কাজ করছে চীন। এরই অংশ হিসেবে গত ৩১ অক্টোবর দেশটির টেলিকম কোম্পানিগুলো ফাইভজি সেবার উদ্বোধন করেছে। একই দিন একযোগে চীনের ৫০টি শহরে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে টেলিকম সেবা সরবরাহ শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ফাইভজি নেটওয়ার্কসংবলিত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। চীনের অভাবনীয় ফোন নেটওয়ার্ক নির্মাণকে ঐতিহাসিক বিবেচনা করা হচ্ছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি উন্নয়নে চীনের এমন অভাবনীয় সাফল্যের রহস্য কী?

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতে চীনের উত্থান হঠাৎ করে হয়নি। দেশটি এক সময় পশ্চিমা বিশ্বকে অনুকরণ করেছে। এরপর তারা উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিয়েছে। চীন হুয়াওয়ে জিটিইর মতো স্থানীয় টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা কোম্পানির বেড়ে উঠতে সহায়তা দিয়েছে। যে কারণে দেশটি অনুকরণীয় থেকে এখন অনুসরণীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতে চীন দেশটির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। পশ্চিমা বিশ্বের সিংহভাগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এখন তাদের ডিভাইস উৎপাদনের জন্য চীনের চুক্তিভিত্তিক পণ্য নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীল। চীন শুধু ফাইভজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে নয়; ডিভাইস চিপ উৎপাদনেও এখন অ্যাপল ইন্টেলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের বৃহৎ দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। চীনের বৃহৎ ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্ক নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ৫০টি শহরে ফাইভজি চালুর ২০ দিনের মাথায় সেবাটির সাবস্ক্রাইবার আট লাখ ছাড়িয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে চীনে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী ১১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি খাত ফাইভজি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কারণ প্রযুক্তি শুধু টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে উৎপাদন, ট্রান্সপোর্ট, রোবোটিকস, পাওয়ার ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তির উন্নয়নে।

চায়না মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের বৃহৎ সেলফোন অপারেটর। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি হংকং অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। ফাইভজি প্রযুক্তি আরো উন্নত করার পাশাপাশি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিচালনায় ফাইভজিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা উদ্ভাবনে কাজ করছে। বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, চীন একমাত্র দেশ নয়, যা ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে সেবাদান শুরু করেছে। তবে দেশটি খুব অল্প সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনে সক্ষম হয়েছে।

হুয়াওয়ে জিটিই স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ টেলিকম বাজারগুলোয় ফাইভজি অবকাঠামো নির্মাণে কার্যক্রম জোরদার করেছে। তবে শুধু চীনভিত্তিক হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের মতো আকর্ষণীয় টেলিকম বাজারে সুবিধা করতে পারছে না। উভয় প্রতিষ্ঠানকে ফাইভজি প্রকল্প থেকে দূরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দুটির পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হুয়াওয়ে জিটিইর পণ্য ব্যবহার করলে মার্কিন নাগরিকদের তথ্য চীন সরকারের হাতে পৌঁছাবে এবং দেশটি মার্কিনিদের ওপর নজরদারির সুযোগ পাবে। যদিও নিজেদের দাবির পক্ষে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন