জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিক

ইউরোপে স্মার্টফোনের বাজার হারিয়েছে হুয়াওয়ে

চলতি বছরের মে মাসে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপ-আমেরিকার স্মার্টফোন বাজারে ধাক্কা খায় চীনা টেক জায়ান্ট। এর প্রভাব পড়েছে বছরের তৃতীয় বা জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে। ইউরোপের স্মার্টফোন বাজারে অবস্থান খুইয়েছে হুয়াওয়ে। সময় ইউরোপে বাজার হিস্যা কমেছে অ্যাপলেরও। বিপরীতে ইউরোপের বাজারে আগের তুলনায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্যামসাং শাওমির স্মার্টফোন।

ক্যানালিস স্মার্টফোন অ্যানালাইসিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউরোপের বাজারে কোটি ২৫ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশ বেশি। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মহাদেশে কোটি ৮৮ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ হয়েছিল।

চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউরোপে কোটি ৮৭ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে স্যামসাং, যা মোট বাজার হিস্যার ৩৫ দশমিক শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে ইউরোপে কোটি ৪৮ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ওই সময় ইউরোপের স্মার্টফোন বাজারের ৩০ দশমিক শতাংশ স্যামসাংয়ের দখলে ছিল।

গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউরোপে কোটি ১৭ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করে বাজার হিস্যার ২৩ দশমিক শতাংশ দখলে রেখেছিল হুয়াওয়ে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে চলতি বছরের একই সময়ে ইউরোপে কোটি ১৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বাজার হিস্যা নেমে এসেছে ২২ দশমিক শতাংশে।

একইভাবে বছরের ব্যবধানে ইউরোপে অ্যাপলের বাজার হিস্যা ২০ দশমিক থেকে ১৮ দশমিক শতাংশে নেমে এসেছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউরোপে ৯৮ লাখ ইউনিট আইফোন সরবরাহ হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে সরবরাহ হয়েছিল কোটি লাখ ইউনিট আইফোন।

স্যামসাংয়ের পাশাপাশি ইউরোপের স্মার্টফোন বাজারে উত্থান ঘটেছে শাওমির। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউরোপে ৫৫ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা মোট বাজার হিস্যার ১০ দশমিক শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে ইউরোপে ৩২ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছিল শাওমি, যা বাজার হিস্যার দশমিক শতাংশ।

            সূত্র: কম্পিউটারউইকলিডটকম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন