সংকট এসআইবিএলের ভিতকে শক্তিশালী করেছে

২৪ বছর পেরিয়ে রজতজয়ন্তীর বছরে পা দিয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্মের সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) দীর্ঘ পথচলা নিয়ে সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী ওসমান আলী। সাক্ষাত্‍কার নিয়েছেন হাছান আদনান

রজতজয়ন্তীর বছরে পদার্পণ করেছে এসআইবিএল। দীর্ঘ পথচলায় অর্জনগুলো কী?

রজতজয়ন্তীর বছরে পদার্পণ যেকোনো ব্যাংকের জন্যই গৌরবের। তার মানে এসআইবিএল পেরিয়ে এসেছে ২৪টি বছর। দীর্ঘ পথচলার প্রতিটি মুহূর্তই ছিল সমৃদ্ধির। এসআইবিএল এখন সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা সম্পদের একটি ব্যাংক। আমাদের কাছে আমানত হিসেবে জমা আছে গ্রাহকদের ২৬ হাজার কোটি টাকা। আমরা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা গ্রাহকদের মাঝে বিনিয়োগ করেছি। বস্ত্র, তৈরি পোশাক, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ভারী শিল্প, কৃষি, এসএমইসহ দেশের প্রত্যেকটি সম্ভাবনাময় শিল্পে এসআইবিএল বিনিয়োগ করেছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এসআইবিএল। রজতজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে এসে আমি দীর্ঘ পথচলার প্রত্যেকটি সঙ্গীকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। সারা দেশে ১৫৯টি শাখার মাধ্যমে এসআইবিএল গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ব্যাংককে সমৃদ্ধ করেছে। প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিতে এসআইবিএলের হাজার ৮৪৭ জন কর্মী নিবেদিত।

দুই বছর আগে এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তনের পর ব্যাংকের গ্রোথ কোন দিকে?

এসআইবিএলের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক বছরে ঊর্ধ্বমুখিতার গতি আরো বেড়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছি। এমডি হিসেবে আমি দায়িত্ব নেয়ার সময় এজেন্টের সংখ্যা ছিল ৪৭। সংখ্যা এখন ১১০ ছাড়িয়েছে। শুধু এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই আমরা শতকোটি টাকার বেশি আমানত সংগ্রহ করেছি। দায়িত্ব গ্রহণের আগে সেবায় আমাদের আমানত কোটি টাকার নিচে ছিল।

প্রযুক্তির দিক থেকে এসআইবিএল সমৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে। সম্প্রতি আমরা এসআইবিএল নাউ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছি। অ্যাপ চালুর পর আমাদের গ্রাহকদের এখন দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য শাখায় যেতে হচ্ছে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন