সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্দুকযদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে ছাতক উপজেলার বোকার ভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম লক্ষ্মণধর আলী লিপসন (৩৫)। তিনি ছাতক উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের কলমধর আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামালেল নেতৃত্বে এক দল পুলিশ উপজেলার বোকার ভাঙ্গা গ্রামে গতকাল ভোরে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ১২টি ডাকাতি মামলার আসামি লক্ষ্মণধর আলী লিপসনকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। লক্ষ্মণধর আলী লিপসনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার পথে ছাতক শহরের বোকার ভাঙ্গা সেতুর কাছে গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় লক্ষ্মণধর আলী লিপসন পালানোর চেষ্টা করলে দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন। ডাকাতদের গুলিতে ছয় পুলিশ সদস্যও আহত হন। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান জানান, লিপসন ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ১২টি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, গতকাল ভোরে উপজেলার বোকার ভাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে লিপসন তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা পুলিশকে জানান। পরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে লিপসনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে লিপসন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গোলাগুলির মাঝে পড়ে মারা যান। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ডাকাতদের গুলিতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
