হুমকিতে এশিয়ার কোকো উৎপাদন

বহু বছর ধরে এশিয়ার শীর্ষ কোকো উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দেশ। সম্প্রতি এ দুই দেশে পণ্যটির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যা সমগ্র এশিয়ার সম্মিলিত উৎপাদনে মন্দা ভাব ফেলেছে।

মূলত কোকো খাতে লাভ কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা অধিকতর লাভবান ফসল যেমন পাম অয়েল উৎপাদনে ঝুঁকেছেন। এদিকে এ অঞ্চলে পণ্যটির চাহিদা বেড়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ছে দেশগুলো।

ইন্টারন্যাশনাল কোকো অর্গানাইজেশনের (আইসিসিও) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়া মোট সাড়ে আট লাখ টন কোকো উৎপাদন করেছিল। বর্তমানে উৎপাদন আরো কমে দেশটি পণ্যটির নিট আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে। গত বছর দেশটি ২ লাখ ৪০ হাজার টন কোকো আমদানি করেছিল। এ ধারা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে।

মালয়েশিয়ার পরিস্থিতি আরো খারাপ। আগে দেশটি বছরে গড়ে এক লাখ টন কোকো উৎপাদন করত। গত দুই দশকে উৎপাদন কমতে কমতে বছরে এক হাজার টনে নেমেছে। পাশাপাশি আমদানি ১০ শতাংশ বেড়ে গত বছর ৩ লাখ ৪৫ হাজার টনে পৌঁছেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন