‘সেই দলছুট এই দলছুট এক নয়’

সঞ্জীব চৌধুরীবিহীন ‘দলছুট’ প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার

ফিচার প্রতিবেদক

এক যুগের দীর্ঘশ্বাস! এক যুগের দীর্ঘ বেদনা! এক যুগের অসীম শূন্যতা! সবকিছুই হূদয়ে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে সঞ্জীব চৌধুরীবিহীনদলছুট গতকাল যখন দলছুটের আরেক কারিগর বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখনো তিনি যেন বারবার তা- বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রিয় বন্ধু, প্রিয় শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর অবর্তমানে যে ভেঙে পড়া যাবে না, তাও বুঝিয়ে দিলেন নানা কথায়। এই তো আসছে ২৫ ডিসেম্বর সঞ্জীবের জন্মদিনে তাকে বিশেষ উপহার দেয়ার পরিকল্পনা করছেন দলছুটের সদস্যরা। বাপ্পা টকিজকে জানালেন সে উপহার আর তাদের পথচলার নতুন গল্প নিয়ে।

 

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে একটি অ্যালবামের কাজ শুরু করেছিলেন বেশ কিছুদিন আগে। এখন সেটি কোন পর্যায় আছে?

অ্যালবামটির পুরো কাজ শেষ হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সঞ্জীবদার জন্মদিনেই মুক্তির ইচ্ছা রয়েছে। অ্যালবামটির চূড়ান্ত টাইটেল ঠিক করা হয়েছেসঞ্জীব এতে থাকছে আটটি গান। যার প্রথম গানটির শিরোনাম থাকছে সঞ্জীব চৌধুরী নামে। পরের গুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে মন কারিগর, মন দাবাড়ু, প্রবঞ্চনা প্রশ্ন জাগে।

নির্ধারিত সময়ে রিলিজ দেয়া নিয়ে কোনো আশঙ্কা করছেন নাকি?

হ্যাঁ। মূল সমস্যাটা হচ্ছে অ্যালবাম বের করার মতো পরিস্থিতিই এখন দেখছি না। সে অর্থে এখন তো কেউ অ্যালবাম বের করে না। এজন্য মুহূর্তে পুরো একটি অ্যালবাম বের করার জন্য যে লজিস্টিকস দরকার হয়, তা গুছিয়ে তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে। শুনলাম এখন নাকি সিডি প্রিন্ট করাও যায় না। সিডি যদি প্রিন্ট না হয়, তাহলে বিকল্প কী করা যায়, সে চিন্তাও করছি।

সেটা কেমন হতে পারে?

ডিজিটালি তো আসবেই। এর বাইরে ফিজিক্যালিও কিছু করার পরিকল্পনা ছিল। এখন দেখি কী করা যায়।

আড়ম্বরপূর্ণভাবে অ্যালবামটি রিলিজ দেবেন কি?

আড়ম্বর করতে গেলেই অনেক বড় কিছু ব্যাপার থেকে যায়। যদিও দলছুটের এবারের অ্যালবামটি আসছে প্রায় সাত বছর পর। আগের অ্যালবামটি বের হয়েছিল ২০১২ সালে। সঞ্জীব দা চলে যাওয়ার পর এটি হবে দ্বিতীয় অ্যালবাম। আসলে যা- করি না কেন, আমাদের মূল চিন্তার বিষয় হলো অ্যালবামটি বের করতেই হবে।

দীর্ঘ এক যুগ ধরে সঞ্জীব চৌধুরী পৃথিবীতে নেই। সময়কে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

এর ব্যাখ্যা দেয়া মুশকিল। শুধু এতটুকুই বলার আছে, সঞ্জীবদা না থাকার শূন্যতা বিশাল। সঞ্জীবদার শূন্যতা বয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বারবারই বলি, যখন সঞ্জীবদা ছিলেন, তখন আমি তিনি মিলে যে দলছুট ছিল, সেই দলছুট আর এই দলছুট এক নয়, আলাদা। কারণ সঞ্জীব দার অনুপস্থিতি দলছুটকে অনেক ম্রিয়মাণ করে দিয়েছে। সে জায়গা থেকে বললেও তিনি না থাকার যে শূন্যতা, তা পূরণ হওয়ার নয়। ১২ বছর ধরে শূন্যতা বয়ে বেড়াচ্ছি। সম্ভবত যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন শূন্যতা নিয়েই আমাকে গান করতে হবে।

ওই সময় দলছুট যে গান করত, সে গানগুলোই ঘুরেফিরে নানা জায়গায়, নানা প্রয়োজনে তরুণরা শুনছে, ব্যবহার করছে। সে অর্থে কিন্তু নতুন গান আসছে না আপনাদের কাছ থেকে। এই না দিতে পারার ব্যর্থতা আপনাদের নাড়া দেয়?

সবসময় নাড়া নেয়। আমি মনে করি গানের লেখনী অনেক বড় জায়গাজুড়ে থাকে। সঞ্জীবদার লেখনী শক্তি অনেক জায়গাজুড়ে ছিল, যা অন্য অনেকের মধ্যে থাকার কথা নয়। আবার আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তখন যে ধরনের গান গাইতাম, এখন সে ধরনের গান গাই না কেন, তাই তো? প্রশ্ন যদি এটা হয়, তাহলে আমি মনে করি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন