র‌্যাবের অভিযানে নারী পাচারকারী চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। শনিবার রাতে রূপগঞ্জের তারাব মোড়ের শাহ চন্দ্রপুরী রেস্টুরেন্ট ও ঢাকার খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চারজন তরুণীকেও উদ্ধার করেছেন র‌্যাব সদস্যরা।

গতকাল র‌্যাব-১১-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজাউল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ সময় র‌্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার হওয়া নারী পাচারকারী চক্রের সদস্যরা গত এক বছরে শুধু একটি এজেন্সির মাধ্যমে ৭২৯ জনকে পাচার করেছে। তাদের মধ্যে ৭২১ জনই তরুণী, যাদের বয়স ১৬ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৭০টি পাসপোর্ট, ২০০টি পাসপোর্টের ফটোকপি, ৫০টি বিমানের টিকিট, ৫০টি ভিসার ফটোকপি, নগদ ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার মো. অনিক হোসেন, নোয়াখালীর চাটখিলের মো. মনির হোসেন ওরফে সোহাগ, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মো. আক্তার হোসেন, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. আফতাউল ইসলাম ওরফে পারভেজ, কুমিল্লার চান্দিনার আবদুল হান্নান ও মাদারীপুরের সদর থানার মো. আকাশ। তাদের মধ্যে আকাশকে ঢাকার খিলগাঁও থেকে এবং বাকি পাঁচজনকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজাউল হক জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী সুন্দরী তরুণীদের উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে থাকে।

এ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সঙ্গে বড়সংখ্যক এজেন্ট, পাসপোর্ট অফিসের দালাল, ড্যান্স বারের মালিক, ট্রাভেল এজেন্সি ও অসাধু ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে। এ নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের এজেন্টরা নিম্নবিত্ত পরিবার, পোশাক শিল্প শ্রমিক ও ডিভোর্সি সুন্দরী নারীদের পাচারের জন্য প্রাথমিকভাবে টার্গেট করে থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন