উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ১ কোটি ৫ লাখ
টাকায় স্বয়ংক্রিয় সুইং মেশিন আমদানির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে দেশ গার্মেন্টস
লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নতুন এ
বিনিয়োগে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
এদিকে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ
প্রদানের সুপারিশ করেছে দেশ গার্মেন্টসের পরিচালনা পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ ও
অন্যান্য বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য ১৯ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা
হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ১৮ নভেম্বর।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা,
যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০
জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস)
দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন
অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশ
গার্মেন্টসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩১
পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫১ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরেও
শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
ডিএসইতে গতকাল সর্বশেষ ১৩৬ টাকায় দেশ
গার্মেন্টসের শেয়ার লেনদেন হয়। সমাপনী দর ছিল ১৩৫ টাকা ২০ পয়সা, আগের
কার্যদিবসে যা ছিল ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে এ শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ২৭৪
টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ১২১ টাকা।
দেশের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের
পথিকৃৎ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে আসে ১৯৮৯ সালে। এর পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬৫ লাখ
টাকা ও অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। রিজার্ভ ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট
শেয়ারের ৫৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক
বিনিয়োগকারী ৪ দশমিক ৫২ এবং বাকি ৩৭ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ
বিনিয়োগকারীর হাতে।
বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর সর্বশেষ
অনুমোদিত নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত
৩২ দশমিক ১১।