বিতর্কিত এজিআর ইস্যু

পর্যালোচনার আবেদন ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের টেলিকম বিভাগের চাপিয়ে দেয়া বিতর্কিত অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ (এজিআর) ইস্যু নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে একটি সীমিত পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া টাটা টেলিসার্ভিসেস। গত শুক্রবার এসব সেলফোন অপারেটর পৃথকভাবে পর্যালোচনার আবেদন করে। খবর টেলিকম লিড।

২০০৫ সাল থেকে এজিআরের সংজ্ঞা নিয়ে ভারতের ব্যক্তি খাতের টেলিকম কোম্পানি দেশটির টেলিকম বিভাগের (ডিওটি) মধ্যে আইনি লড়াই চলে আসছে। গত ২৪ অক্টোবর এজিআর নিয়ে সেলফোন অপারেটরগুলোর দাবি প্রত্যাখ্যান করে ডিওটির সংজ্ঞাকে বৈধতা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে বকেয়া পরিশোধে অপারেটরগুলোকে ছয় মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন। তবে সেলফোন অপারেটরগুলো শুরু থেকে দাবি করে আসছে রায় তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এজিআর নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় ডিওটির পক্ষে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, টাটা টেলিসার্ভিসেসের মতো সেলফোন অপারেটরগুলোকে মোট দশমিক ৪৭ লাখ কোটি রুপি বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। মোট বকেয়ার ৭৫ শতাংশই সুদ, জরিমানা এবং জরিমানার ওপর সুদ হিসেবে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভারতের সেলফোন অপারেটরগুলোকে মোট বকেয়ার মধ্যে ৯২ হাজার ৬৪২ কোটি রুপি লাইসেন্স ফি এবং ৫৫ হাজার ৫৪ কোটি রুপি স্পেকট্রাম ইউজেস চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হবে। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোডাফোন আইডিয়াকে মোট ৫৩ হাজার ৩৯ কোটি রুপি পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৩০৯ কোটি রুপি বকেয়া এবং সুদ, জরিমানা জরিমানার ওপর সুদ বাবদ ২১ হাজার ৪৩৫ কোটি রুপি পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে ভারতী এয়ারটেলকে মোট ৩৫ হাজার ৫৮৬ কোটি রুপি পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৬৮২ কোটি রুপি বকেয়া এবং সুদ, জরিমানা জরিমানার ওপর সুদ বাবদ ১৬ হাজার ১৫২ কোটি রুপি পরিশোধ করতে হবে।

সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই) ১৪ বছর আগে ডিওটি নির্ধারিত এজিআরের সংজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেছিল। ওই মামলায় দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার এজিআরে যে উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলো টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (টিআরএআই) সুপারিশে প্রণয়নকৃত টেলিগ্রাফ অ্যাক্টের পরিপন্থী।

সিওএআইয়ের দাবি, ডিওটি নির্ধারিত বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেলফোন অপারেটরগুলো এরই মধ্যে ৮৫ শতাংশ বর্ধিত ফি পরিশোধ করেছে। বাকি ১৫ শতাংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে।

গত অক্টোবরে দেয়া রায়ে আদালত বলেছেন, এজিআরের মধ্যে লাইসেন্স ফি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় যুক্ত হবে। তবে এক্ষেত্রে মূল সম্পদ বিক্রি ইন্স্যুরেন্স দাবির বিষয়টি পড়বে না। রায় ভারতের টেলিকম বিভাগের জন্য স্বস্তিকর হলেও সেলফোন অপারেটরগুলোর জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। এমনিতে ভারতের টেলিযোগাযোগ খাতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বড় অংকের বকেয়া পরিশোধের রায় বাড়তি জটিলতা সৃষ্টি করেছে।

এজিআর নিয়ে আদালতের রায়ের পর ভারতী এয়ারটেল

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন