প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দিন-রাত দেশের মানুষের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি। চলার পথে কেউ যদি বিপথে যায় এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিতে জড়ায়, সে যে-ই হোক আমি তাদের ছাড়ব না। তাদের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি থাকবে না।
গতকাল রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি করে কেউ টাকা বানাতে পারে, এ টাকা দিয়ে জৌলুস ও চাকচিক্য বাড়াতে পারে, আন্তর্জাতিক বড় বড় ব্র্যান্ডের জিনিস পরতে পারে। কিন্তু তাতে সম্মান পাওয়া যায় না। মানুষ হয়তো অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকাতে পারে। কিন্তু মর্যাদা পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তাই আমাদের সবাইকে এ কথা মনে রাখতে হবে, ভোগে নয় ত্যাগই মহত্ব, ত্যাগেই সুখ। নিজে কী পেয়েছি কী পেলাম, এ চিন্তা না করে সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, এ চিন্তা থেকে যারা রাজনীতি করে, তারাই সফল হতে পারে। ভোগের মধ্য দিয়ে আত্মতুষ্টি পাওয়া যায়, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না।
যুবসমাজকে আদর্শিকভাবেই গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যুবসমাজকে সঠিক পথে রাখতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার। শুধু চাকরির পেছনে ছুটে চলা নয়, আমাদের যুবসমাজকে এমনভাবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিচ্ছি, যাতে তারা আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে অন্যকে চাকরি দিতে পারে। আমরা সেদিকে জোর দিচ্ছি। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। এ দেশে কেউ বেকার থাকবে না। স্কুল লেভেল থেকে হাতে-কলমে কারিগরি শিক্ষা জোরদার করছে সরকার।
আদর্শ যুবসমাজ গড়তে যুবলীগকে আদর্শ সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুবসমাজকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
যুবলীগের গর্বিত