চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্মেলন। জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ১৪টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান গতকাল এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় এনএপিডির পরিচালক মো. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএপিডির অতিরিক্ত পরিচালক এএএম নাশিদুল কামাল এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৯২৮ ডলার। ২০১৯ সালে এসে সেটা ১ হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ধরনের অগ্রগতির জন্য গোছানো পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য দরকার গবেষণা। গবেষণায় দক্ষ হয়ে উঠতে হলে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিদেশীদের প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ জানানো হোক। তাতে আমাদের গবেষকরা লাভবান হবেন।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্মেলনের উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের অর্জনগুলোর পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও তুলে ধরা হয়। ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রেক্ষিতে অর্জন এবং চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এ প্রবন্ধে জনমিতির লভ্যাংশ বঞ্চিত হওয়া, নগরাঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাবের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে নিয়ে আসা হয়।
সম্মেলনে বক্তারা ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
