শঙ্কা জেগেছিল দুদিনেই ম্যাচ হারের। ২৪১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ যখন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে, দিনের খেলা তখনো প্রায় ৫০ ওভার বাকি। এর মাঝে ১৩ রানে যেতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। ভারতীয় পেসারদের দাপটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন ব্যাট ধরতেই ভুলে গেছেন। শুরু হয় দুদিনে ম্যাচ হারের পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণাও। বিপদসংকুল মুহূর্তে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল নেয় বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদউল্লাহ চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও মুশফিক পড়ে ছিলেন মাটি কামড়ে। একাধিকবার আউটের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল তার বিপক্ষে। বাঁচলেন রিভিউ নিয়ে। শেষ পর্যন্ত দল ইনিংস হারের মুখে থাকলেও দুদিনে ম্যাচ হারের লজ্জা থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দিলেন মুশফিক। যদিও এখনো ৮৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, হাতে ৪ উইকেট।
এর আগে দ্বিতীয় দিন বিকালে নতুন বলে বাংলাদেশের পেসাররা জ্বলে উঠলে ভারত দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে। একপর্যায়ে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। দারুণ ব্যাটিংয়ে শতক তুলে নেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নে। ইনিংসের পঞ্চম বলেই রানের খাতা খোলার আগে ইশান্ত শর্মার বলে সাজঘরে সাদমান ইসলাম। দুঃস্বপ্নের সিরিজে নতুন অধিনায়ক হওয়া মুমিনুল পেলেন ‘পেয়ার’ (দুই ইনিংসে শূন্য)। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। ৬ রান করে ফিরেছেন উমেশ যাদবের বলে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ইমরুল কায়েসও সঙ্গী হলে ১৩ রানেই বাংলাদেশ হারায় চার ব্যাটসম্যানকে। তবে দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। ভারতীয় পেসারদের তোপ সামলে চেষ্টা করেন দলকে টিকিয়ে রাখার। অবশ্য প্রথম দিনের দুর্ভাগ্য এদিনও ছাড়ল না বাংলাদেশকে। ভালো খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহকে ফিরতে হয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে। ফেরার আগে স্কোরবোর্ডে তার অবদান ৩৯ রান। এরপর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। এসেই ফিরতে পারতেন এই ‘কনকাশন সাব’। অশ্বিনের বলে স্লিপে তার ক্যাচ ছেড়ে জীবন দিয়েছেন আজিঙ্কা রাহানে। তাকে সঙ্গে নিয়েই পরে নিজের অর্ধশতক আদায় করে নেন মুশফিক।