বেসরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা বিনিয়োগকারীরা

চলতি মাসের তারিখে চীনের সাংহাইতে দ্বিতীয়বারের মতোইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল কো-অপারেশন সামিট ২০১৯অনুষ্ঠিত হয়। চীনের মিনিস্ট্রি অব কমার্স ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট ব্যুরোর সহযোগিতায় সামিটের মূল উদ্যোক্তা ছিল চায়না ইউরোপ ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন, শানসি প্রভিন্সিয়াল অফিস অব চায়না ইউরোপ ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন এবং দি আরব কান্ট্রিজ বিজনেস ওয়ার্ক কমিটি অব চায়না ইউরোপ ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন। সামিটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শীর্ষস্থানীয় মার্চেন্ট ব্যাংক ট্রিপল ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্ট লিমিটেড অংশগ্রহণ করে। সামিটে চীনের বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কনগ্লোমারেটদের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করে। সম্প্রতি বণিক বার্তার কাছে সামিটে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ট্রিপল ফিন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খাজা আরিফ আহমেদ এবং পরিচালক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মোহাম্মদ ফেরদৌস মাজিদ। কথা বলেছেন মেহেদী হাসান রাহাত।

খাজা আরিফ আহমেদ: সম্প্রতি আমরা চীনের সাংহাইতে একটি আন্তর্জাতিক সামিটে অংশ নিয়েছিলাম। এখানে চীনের সরকার, তাদের অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আরো বেশ কিছু সরকারি সংস্থাসহ দুবাই, বাহরাইন, কাতার কুয়েতের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। প্রোগ্রামে চীনা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সমর্থন ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সামিটের উদ্বোধন করেন। চীনা প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা ট্রিপল ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের পক্ষ থেকে সামিটে উপস্থিত ছিলাম। মূলত মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক কারিগরি সহযোগিতা জোরদার করাই ছিল সামিটের মূল লক্ষ্য। চীনা সরকার মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আরো নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে। সামিটের প্রতিপাদ্য ছিল—‘বিশ্বকে চীনের প্রয়োজন এবং বিশ্বেরও চীনকে প্রয়োজন কাজেই বুঝতেই পারছেন তারা কী চায়। সেখানে আমি চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে অবাক হয়েছি যে বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বড় বিনিয়োগ থাকলেও বিষয়ে সেখানকার অনেকেই জানে না। এমনকি আমাদের এখানো কোন কোন খাতে বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সে বিষয়েও তাদের জানার ঘাটতি রয়েছে। অথচ তাদের কাছে বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। এর বিপরীতে আমাদের অর্থনীতিকে আরো বেগবান করতে হলে বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন। মূলত বিষয়টি নিয়েই আমরা কাজ করছি। ফিন্যান্সিয়াল ইন্টারমিডিয়ারিজ হিসেবে আমাদের কাজই হচ্ছে উদ্যোক্তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংযোগ করে দেয়া। দেশের পুঁজিবাজারে তো আমাদের কার্যক্রম আছেই। এর পাশাপাশি আমরা দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আনার জন্য কাজ করতে চাচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) মূল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে কাজ করছি। আমাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আইডিবি ১৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এবার আমরা চীনা বিনিয়োগ দেশে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। সামনের বছরের জানুয়ারিতে জংগুয়ানকুন প্রাইভেট ইকুইটি অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের (জেডভিসিএ) একটি প্রোগ্রাম রয়েছে, সেখানে আমরা বাংলাদেশের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন