এসএ গেমসে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই, তবে গত আসরের চেয়ে ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। নেপালের তিন শহরে আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এবারের আয়োজন, শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর।
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে চার স্বর্ণ, ১৫ রুপা ও ৫৬ ব্রোঞ্জ নিয়ে সম্মিলিত পদক তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল লাল-সবুজরা। ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ছিল বাংলাদেশের উপরে। এবারের আসরে আফগানিস্তান খেলছে না। ভারতও বেশকিছু ডিসিপ্লিনে দল পাঠাচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে।
এ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘কে অংশগ্রহণ করল আর কে করল না—আমরা এ নিয়ে ভাবছি না। আমরা নিজেদের দিকেই মনোযোগ দিতে চাই। আশা করছি, গত আসরের চেয়ে ভালো করবে আমাদের ক্রীড়াবিদরা।’
প্রথমবারের মতো যুব বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। গেমসে ভালো করা অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছিল। ওই কার্যক্রমে উঠে আসা প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের কারণে গেমস নিয়ে আশাবাদী বিওএ মহাসচিব।
গেমসের অ্যাথলেটিকসে আশা জাগাচ্ছে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টার জহির রায়হান। এছাড়া হাইজাম্পার মাহফুজুর রহমানকে ঘিরেও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। দুজন সম্প্রতি ভারতে জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জয় করেন। গেমসের অ্যাথলেটিকস থেকে সর্বশেষ স্বর্ণ আসে ২০০৬ সালে, হার্ডলার মাহফুজুর রহমান মিঠুর হাত ধরে। গত দুটি আসরের প্রাপ্তি জহির-মাহফুজরা আদৌ ঘোচাতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলবে।
২০১০ সালের অপ্রাপ্তি ঘুচিয়ে মাহফুজা খাতুন শীলা গত আসরে জোড়া স্বর্ণ জয় করেন। এবার আসরের আগে নানা জটিলতা তৈরি হয় সাঁতারে। তা দূর করে দল নিয়ে আগেভাগে নেপাল গেছেন কর্মকর্তারা। সেখানেই চলছে প্রস্তুতি।
ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, উশুসহ বেশকিছু ডিসিপ্লিনে অভ্যন্তরীণ জটিলতা নিয়ে গেমসের প্রস্তুতি চলেছে। সে জটিলতা দূর করে উল্লিখিত ডিসিপ্লিনের অ্যাথলিটরা কতটুকু কী করতে পারেন, তাই দেখার বিষয়। সম্প্রতি নেপাল ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ থেকে শূন্য হাতে ফিরেছে ব্যাডমিন্টন। গেমসে ব্রোঞ্জ পদক পাওয়াও কঠিন মনে হচ্ছে এ ডিসিপ্লিনে। টেবিল টেনিসে গেমসের দল নির্বাচনের বিষয় আদালতে গড়িয়েছে।
এবারের আসরে ২৭ ডিসিপ্লিনে খেলা হবে। বাংলাদেশ খেলবে ২৫ ডিসিপ্লিনে। ২৬৩ পুরুষ ও ১৯৯ নারী অ্যাথলিট গেমসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। অ্যাথলিটদের সঙ্গে কোচ ও কর্মকর্তা হিসেবে যাচ্ছেন