দাপট দেখিয়ে এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোর ছন্দ ফাইনালে ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরে গেছে পাকিস্তানের কাছে। যে হারে হাতছাড়া হয়েছে শিরোপাও। ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছে ৭৭ রানে। পাকিস্তানের দেয়া ৩০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২২৪ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ।
বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। তবে এ জুটি ২৩ রানের বেশি এগোতে পারেনি। ৬ বলে ১৫ রান করা সৌম্যকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সামিন গুল। ৪১ রানে যেতে সাজঘরের পথ ধরেন নাঈমও। ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। জুটি গড়ে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী। কিন্তু দলীয় ৯২ রানে ইয়াসির ফিরে গেলে বিপদ বাড়ে স্বাগতিকদের। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। উইকেট পতনের ধারায় এরপর যোগ দেন শান্তও। তার সম্ভাবনাময় ইনিংসটি থেমে যায় ৪৬ রানেই। এরপর ১৪৭ পর্যন্ত যেতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসানের ব্যাট বাংলাদেশকে নিয়ে যায় ১৯৫ রানে। তবে ৪৯ রান করা আফিফ ফিরে গেলে বাংলাদেশের হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। মেহেদীর করা ৪২ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২২৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানে ওমাইর ইউসুফের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৪১ রানে ফিরে যান হায়দার আলীও (২৬)। তবে রোহাইল নাজির ও ইমরান রফিকের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে পাকিস্তান। ৬২ রান করে ফিরেন ইমরান। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে শতক আদায় করে নেন রোহাইল। ১১১ বলে ১১৩ রান করে আউট হন তিনি। সৌদ শাকিল করেন ৪২ রান। ম্যাচসেরা হয়েছেন রোহাইল এবং টুর্নামেন্ট সেরা সৌম্য সরকার।