নওগাঁয় ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ‘আস্থা’

বণিক বার্তা প্রতিনিধি নওগাঁ

 স্থায়ীভাবে ভিক্ষুকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন পুনর্বাসনে সহায়তা করতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন এরই অংশ হিসেবে আস্থা নামে মানসম্মত মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে ওই দোকানের আয় থেকে উপজেলা সদরের শিকারপুর ইউনিয়নের ৪৯ জন ভিক্ষুককে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে

জানা গেছে, ভিক্ষুক পুনর্বাসনে আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের ৪৯ জন ভিক্ষুককে নিয়ে একটি সমিতি গঠন করা হয় ওই সমিতির প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে এককালীন ২০০ সরকারের পক্ষ থেকে আরো ২০০ টাকা দিয়ে মোট ১৯ হাজার ৬০০ টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয় পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের আওতায় লাখ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা দেয় সরকার মোট লাখ টাকা নিয়ে আস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন এর মধ্যে ঘর নির্মাণ, ফ্রিজ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনা বাবদ এখন পর্যন্ত লাখ টাকা খরচ হয়েছে বাকি লাখ টাকা এখনো গরু ছাগল কেনার জন্য রাখা হয়েছে দোকানটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর তাকে সহযোগিতা করছেন আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী মনোয়ার হোসেন ফিল্ড সুপারভাইজার রুজিনা আক্তার

এদিকে গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে আস্থার উদ্বোধন করেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন যদিও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই দোকানের কার্যক্রম শুরু হয়

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আস্থা থেকে গত ২০ দিনে ভালোই মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতিদিন একটি গরু একটি খাসি জবাই করা হয় পুরো মাংসই প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যায় আস্থায় প্রতি কেজি গরুর মাংস পাইকারিতে ৫০০ খুচরা ৫২০ টাকায় বিক্রি করা হয় এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস পাইকারিতে ৭০০ খুচরায় ৭২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে আস্থায় পশু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা করা হয় এছাড়া দামও স্বাভাবিক থাকায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষ সেখান থেকে মাংস কিনছে এরই মধ্যে কয়েকটি খাবার হোটেল আস্থা থেকে মাংস নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে

শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর গ্রামের বিধবা মাজেদা বেগম বলেন, পাঁচ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন দুই ছেলে মাছ ধরে সংসার চালায় আমি ছোট ছেলের

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন