চীনের ইস্পাত ব্যবহার ৯৩ কোটি টন ছাড়াতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। বৈশ্বিক ইস্পাতের অর্ধেকেরও বেশি এককভাবে ব্যবহার করে চীন। সে ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দেশটিতে ইস্পাতের ব্যবহার ৯৩ কোটি টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে শিল্প খাতের তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ল্যাঞ্জ। এটি হলে গত বছরের তুলনায় ব্যবহার বাড়বে শতাংশ। খবর সিনহুয়া।

প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীনে ৭৮ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। মূলত দেশটির অবকাঠামো খাত দ্রুত সম্প্রসারণ হওয়ায় ইস্পাতের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতেও দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে ইস্পাতের চাহিদায় প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে গত অক্টোবরে চীনে চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত ইস্পাতের উৎপাদন কমেছে। ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (এনবিএস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরে ব্যবহারিক ধাতুটির উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টনে। মূলত চীন প্রজাতন্ত্রের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্য সামনে রেখে আগে থেকেই উৎপাদন কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়।

এনবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে চীনে ইস্পাতের দৈনিক উৎপাদন কমেছে দশমিক শতাংশ। সময় দেশটির দৈনিক উত্তোলন দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৩০ হাজার টন। ধারা অব্যাহত থাকলে দেশটিতে ইস্পাতের বার্ষিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৯৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার টনে।

অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) দেশটিতে ইস্পাতের উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে দশমিক শতাংশ। সব মিলিয়ে ১০ মাসে দেশটির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার টনে।

ইস্পাতের পাশাপাশি অক্টোবরে অপরিশোধিত লোহার উৎপাদনও কমেছে। সময় ব্যবহারিক ধাতুটির উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টনে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সব মিলিয়ে ৬৭ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টন অপরিশোধিত লোহা উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে অপরিশোধিত ইস্পাতের রফতানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। সময় দেশটি থেকে ব্যবহারিক ধাতুটির রফতানি ছিল কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন