চিনির বৈশ্বিক উৎপাদন ৬০ লাখ টন কমতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারত। কিন্তু দেশটিতে এবার আখের আবাদ কমে যাওয়া প্রতিকূল আবহাওয়ায় আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; ফলে চিনির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যেতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে বৈশ্বিক চিনি উৎপাদনে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী চিনির উৎপাদন সবমিলিয়ে ৬০ লাখ টন কমে যেতে পারে। এর মধ্যে ৫০ লাখ টন কমতে পারে ভারতে। খবর কমোডিটি অনলাইন।

ইউএসডিএর ফরেন এগ্রিকালচার সার্ভিসের (এফএএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বিশ্বব্যাপী ১৭ কোটি ৪০ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। তবে সময় বিশ্বব্যাপী চিনির ব্যবহার বাড়তে পারে। বিশেষ করে ভারতের বাজারে এবার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ব্যবহার বাড়লেও সময় বিশ্বব্যাপী চিনির মজুদ কমে যেতে পারে ৫০ লাখ টনের মতো। মৌসুম শেষে চিনির বৈশ্বিক মজুদ দাঁড়াতে পারে পাঁচ কোটি টনে। বিশেষ করে চীন, ভারত পাকিস্তানে এবার মজুদ বড় আকারে কমে যেতে পারে। অন্যদিকে সময়ে চিনির রফতানি স্থিতিশীল থাকবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

চিনি উৎপাদনে ব্রাজিল ভারত প্রায় পাশাপাশি অবস্থান করছে। এর মধ্যে ব্রাজিলে ২০১৯-২০ মৌসুমে চিনির উৎপাদন কিছুটা কমে দাঁড়াতে পারে কোটি ৯৪ লাখ টনে। মূলত দেশটিতে এবার উৎপাদিত আখের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইথানল উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। গত মৌসুমে দেশটিতে উৎপাদিত আখের ৩৫ দশমিক শতাংশ চিনি উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। যেখানে চলতি মৌসুমে ব্যবহার হতে পারে ৩৫ শতাংশ আখ। যার ফলে চিনির উৎপাদনও কমে যাবে।

অন্যদিকে মৌসুমে দেশটি থেকে চিনি রফতানিও কমতির দিকে থাকবে। ইউএসডিএর তথ্য বলছে, সময় ব্রাজিলের রফতানি ১০ লাখ টন কমে দাঁড়াতে পারে কোটি ৮৬ লাখ টনে; যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে মৌসুমে উৎপাদন রফতানির মধ্যে তেমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থা তৈরির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আর সময় দেশটিতে ব্যবহার কিছুটা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনির মজুদ ৮০ হাজার টন বাড়তে পারে।

এদিকে চলতি মৌসুমে ভারতে চিনির উৎপাদন ৫০ লাখ টন কমে যেতে পারে বলে মনে করছে ইউএসডিএ। প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলনে বলা হয়েছে, সময় ভারতে চিনির উৎপাদন কমে দাঁড়াতে পারে কোটি ৯৩ লাখ টন। এর বিপরীতে দেশটিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ চিনির ব্যবহার হতে পারে। সময় ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াতে পারে কোটি ৮৫ লাখ টনে। মূলত দেশটিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌসুমে চিনির ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে পারে। আর দেশটি থেকে সময় চিনির রফতানি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫০ লাখ টনে। যেখানে চিনির মজুদ গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে ইউএসডিএ।

তবে ভারত ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন কমলেও বৃদ্ধির পূর্বাভাস মিলছে চীনে। ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটিতে টানা চতুর্থবারের মতো চিনির উৎপাদন বাড়তে পারে। মৌসুমে দেশটিতে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন