যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধ প্রশমন

প্রাথমিক চুক্তিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত ট্রাম্প-শির

বণিক বার্তা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র চীনের মধ্যে প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট। ১৬ মাস ধরে চলা শুল্ক লড়াইয়ে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে যে শ্লথগতি দেখা দিয়েছে, তা প্রশমনে চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। খবর রয়টার্স।

ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে বিরল মন্তব্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বাপ্রাথমিক ধাপেরবাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নিতে কাজ করতে চায় বেইজিং। তবে প্রয়োজনে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে ভয় পাবে না।

শির মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা বাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টিঅনেকদূর এগিয়ে গেছে তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যেকোনো চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গেলেই এগিয়ে নেয়া হবে, কারণ বছরের পর বছর ধরে চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য অসমতা চলে আসছে।

মার্কিন টিভি সম্প্রচার মাধ্যম ফক্স নিউজ চ্যানেলেরফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডসঅনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, হংকং সংকটের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গণতন্ত্রের দাবিতে কয়েক মাস ধরে চলা আন্দোলনে বাণিজ্য আলোচনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ট্রাম্প শির মন্তব্যের জেরে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ডাও জোনস সূচকে শুক্রবার কিছুটা চাঙ্গা ভাব লক্ষ করা গেছে। চুক্তিটি আগামী বছরে গিয়ে ঠেকতে পারে রকম খবরে গত সপ্তাহে সূচকের পতন হয়েছিল।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে প্রলম্বিত বাণিজ্যযুদ্ধে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, বিনিয়োগ ব্যবসায় আস্থা কমছে।

ব্লুমবার্গ এলপি আয়োজিত দ্য নিউ ইকোনমি ফোরামের প্রতিনিধিদের কাছে শি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা সমতার ভিত্তিতে আমরা চুক্তির প্রাথমিক ধাপ নিয়ে কাজ করতে চাই। যখন প্রয়োজন পড়বে, আমরা পাল্টা জবাবও দিতে পারি। তবে আমরা বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছি। আমরা যুদ্ধের শুরু করিনি এবং এমনটা আমরা প্রত্যাশাও করি না।

বাণিজ্য আলোচনা ফের ভেস্তে যেতে পারে আশঙ্কায় চলতি সপ্তাহে বিশ্ব অর্থবাজারে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। চীনা নিয়ন্ত্রিত হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুমোদিত দুটি বিলে ট্রাম্প স্বাক্ষর করবেন ঘোষণায় বাণিজ্য আলোচনার পরিণতি নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। তবে ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাত্কারে হংকং ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। তিনি সেখানে বলেন, আমাদের হংকংয়ের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং আমি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশেও আছি।

হংকং ইস্যুতে চীন-মার্কিন সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটবে চলতি সপ্তাহে শঙ্কা বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি রণতরী যাত্রা করেছে। চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপের কাছে মার্কিন রণতরীর অবস্থান বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে।

বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক ধাপে স্বাক্ষরের বিষয়টি আগামী বছরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা। হোয়াইট হাউজের কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, আরো শুল্ক প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে বেইজিং এবং নিজেদের দাবিদাওয়া বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। শিরসমতারদাবিতে কিছুটা বিরক্ত ট্রাম্প।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন