আলিবাবা

প্রতিকূল হংকং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির রহস্য

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রায় ছয় মাস ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নাকাল হংকংয়ের অর্থনীতি, আর্থিক বাজার ভোক্তা চাহিদা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছে শহরটির স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধনীরা। সহিংস বিক্ষোভে দেখেশুনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে কর্মরত স্থানীয় আন্তর্জাতিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিরাজমান  প্রতিকূল পরিবেশে হংকংয়ের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ঘোষণা দিয়েছে চীনা বহুজাতিক -কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা। খবর বিবিসি।

চলতি সপ্তাহ থেকে হংকং শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করেছে আলিবাবা। অস্থির শেয়ারবাজারটি থেকে কোম্পানিটি আয় করতে চায় অন্তত হাজার ১০০ কোটি ডলার (৮৫০ কোটি পাউন্ড) কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা চলতি বছরের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিজেদের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী বা ক্রেতাদের কাছে লেখা এক বিবৃতিতে আলিবাবার চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল জাং বলেন, হংকং বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কেন্দ্র। চলমান সংকটময় পরিস্থিতি সত্ত্বেও হংকংয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের আশাবাদ অপরিবর্তিত রয়েছে।

হংকং বিক্ষোভের অন্য ঘটনার কথা বাদ দিয়ে শুধু দু-এক সপ্তাহের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে কোম্পানিটির দৃষ্টিভঙ্গি খানিকটা বিস্ময়কর মনে হবে। বিশেষত গত দুই সপ্তাহে পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি অবস্থানে শহরটি যে পরিমাণ সহিংস হয়ে ওঠে, তাতে আলিবাবার চেয়ারম্যানের আশাবাদ মাত্রাতিরিক্ত ইতিবাচক বলে মনে হয়।

এদিকে কোম্পানির শেয়ারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হংকং শেয়ারবাজারে আলিবাবার তালিকাভুক্তির পথে সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিরতাকে বাধা হিসেবে আমলে নেয়া হয়নি। অন্যদিকে শহরটির সামাজিক উত্তেজনা আলিবাবার শেয়ার বিক্রিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে সূত্র।

এদিকে শেয়ারবাজারে বিক্রির জন্য সূচিবদ্ধ (শিডিউলড) হওয়ার আগেই আলিবাবার শেয়ার অফার বন্ধ হয়ে গেছে। এর অর্থ হলো, প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত সময়ে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির সব শেয়ার কিনে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির সফলতা সত্ত্বেও ভিন্ন মত রয়েছে কোনো কোনো বিশ্লেষকের। হংকংয়ের বিপর্যয়কর মুহূর্তে সেখানে আলিবাবার রেকর্ড শেয়ার তালিকাভুক্তি সম্পর্কে ম্যাক্স বান্দুরি বলেন, আলিবাবা মুহূর্তে শেয়ার বিক্রি করে যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছে, একটু অপেক্ষা করলে তার চেয়ে বেশি করতে পারত। এসজিএমসি ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তি বলেন, হংকং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়াটা কোম্পানিটির একমাত্র অর্থনৈতিক কারণে হয়ে থাকলে সময়টা নিশ্চয়ই যথাযথ হয়নি। শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এমন সিদ্ধন্ত নিতে হলে কোম্পানিটিকে আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। কারণ মুহূর্তে বিরাজমান অনেক অস্থিরতা ততদিনে নিশ্চয় কমে আসত। 

তবে মুহূর্তে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির অন্তর্ভুক্তির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আর্থিক বিবেচনার চেয়ে বড় বলে মনে করেন বান্দুরি। এর ব্যাখ্যা হলো, হংকং শেয়ারবাজারে আলিবাবার তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত বেইজিংয়ের রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সময় কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির অন্তরালে চীনের রাজনৈতিক স্বার্থ কাজ করেছে।

এসজিএমসি ক্যাপিটালের কর্ণধার বলেন, এশিয়ার বাণিজ্যিক হাবটি চলমান বিক্ষোভে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বারবার নেতিবাচকভাবে শিরোনাম হয়েছে। আলিবাবার রেকর্ড শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে চীনা কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের মনোযোগ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন