শেষ পাতা

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গতকাল মাইক্রোবাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে সাতজনই একই পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। বেলা সোয়া ২টা নাগাদ শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ষোলঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা থেকে মাওয়াঘাটগামী স্বাধীন এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে আরো তিনজনের। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু।

নিহতরা হলেন বরের বাবা আবদুর রশিদ (৭০), বোন লিজা আক্তার (২৪), ভাগ্নি তাবাসসুম আক্তার (৬), রেনু আক্তার (১০), ভাতিজা মো. তাহসান (৫), ভাবি রুনা আকতার (২৮), ফুফা কেরামত ব্যাপারী (৭২), প্রতিবেশী মফিদুল মোল্লা (৬০), মাইক্রোবাসের চালক মো. বিল্লাল হোসেন (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)। নিহতরা লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান,  দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার তত্পরতা শুরু করে। দুর্ঘটনায় পতিত মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

হাসড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল বাসেত জানান, স্বাধীন এক্সপ্রেসের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটির উপরে উঠে গেলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, নিহতরা সবাই স্থানীয় লোকজন। তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

শ্রীনগর থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা ঘটার পর পরই পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের বের করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। কয়েকজন হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের দাফন-কাফন ও মরদেহ পরিবহনের জন্য তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.