উৎপাদিত পণ্যের বিপণন, অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা ও কারিগরি সহযোগিতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশে নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের আঙ্কারায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরস্ক ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর উল্লেখ করে ফুয়াত ওকত বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একে অন্যের প্রতিযোগী না হয়ে ব্যবসা করতে হবে। চাহিদা রয়েছে এমন পণ্য তুরস্কে রফতানির সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে তুরস্ক। বাংলাদেশ কৃষি খাত, এগ্রো প্রসেসিং, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, ফ্রুট প্রসেসিং বিশেষ করে আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়াতে পারে। এছাড়া গরুর মাংস রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে হালাল সার্টিফিকেশনে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করবে।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তুরস্কের সহায়তা কামনা করে তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে তুরস্ক। পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত এ অসহায় মানুষগুলো যেহেতু মুসলমান, তাই বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো ভাগাভাগি করে তাদেরকে আশ্রয় প্রদান করলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
আ হ ম মুস্তফা কামাল তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অর্থমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি সম্মতি দেন।
সাক্ষাত্কালে আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দাউদ আলী।
