তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হলে উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও সার্ভিস প্রোভাইডার অর্থাৎ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে জরিমানার বিধিমালা তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়েই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো, চরিত্র হনন ও গুজব প্রচার করা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশও এ সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব টেলিভিশন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও টিভি ক্যামেরাপারসন অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা যেহেতু বিদ্যমান আছে, এ নীতিমালার আলোকে কীভাবে আইনি সুরক্ষা দেয়া যায়, সেটি নিয়েও আমরা চিন্তাভাবনা করছি। দেশে বেসরকারি টিভির যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এখন ৩৪টি চ্যানেলে সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার হচ্ছে। আরো ১১টি সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় আছে। ১১ বছরে বেসরকারি টিভির সংখ্যা সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসলে টেলিভিশন নতুন প্রজন্মের মনন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। টেলিভিশন যেন কারো ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ী স্বার্থে ব্যবহার না হয়। যারা ওয়েজ বোর্ডের আওতাধীন প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করেন, তাদের জন্য আইনি সুরক্ষা আছে। কিন্তু টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা এখন পর্যন্ত নেই। সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এখন টিভির গুরুত্ব ও তাত্পর্য অনেক বেশি। আগামী দিনের টিভির চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। বেসরকারি টিভি সরকারি গাইডলাইনে সম্প্রচার হয়। দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। তাহলে দর্শকের আস্থাহীনতা তৈরি হবে না।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপমহাপরিচালক (বার্তা) অনুপ কুমার খাস্তগীর উপস্থিত ছিলেন।