পাটসহ কয়েকটি প্রাকৃতিক তন্তুকে বিশ্বের টেকসই উন্নয়নকাজে ব্যবহারের ব্যাপারে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশের পক্ষে উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে বিশ্বের ৬৮টি দেশ সমর্থন দেয়। জাতিসংঘের চলতি ৭৪তম সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ গত সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবটি দ্বিতীয় কমিটিতে উত্থাপন করে। টানা সমঝোতা আলোচনার পর তাতে সমর্থন পাওয়ায় তা পাস হলো।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত, চীন, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, মিসর, নাইজেরিয়াসহ ৬৮টি দেশ এ প্রস্তাবে সমর্থন দেয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবটিতে পাট এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তু যেমন অ্যাবাকা, কয়ার, কেনাফ, সিসাল, হেম্প ও রামির ব্যবহার এবং উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথম এ ধরনের একটি প্রস্তাব পাস হলো। যেখানে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই এবং সামাজিকভাবে লাভজনক কৃষিপণ্য পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্যতা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রস্তাবটি তুলে ধরার জন্য দেয়া বক্তব্য জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ায় প্রাকৃতিক বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উপকারিতা বিশ্ববাসী জানল। এতে এসব পণ্যের উৎপাদকদের ভালো দাম পাওয়া সহজ হলো, আর বিশ্ববাসী এ ধরনের একটি পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারল।
এ প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমরা প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের সুবিধা আর কৃত্রিম তন্তু যেমন প্লাস্টিক ব্যবহারের অসুবিধা তুলে ধরার সুযোগ পেলাম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের পরিবেশগত বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখবে।
আগামী ডিসেম্বর মাসে সাধারণ পরিষদের প্ল্যানারিতে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এখন থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে এ প্রস্তাবটি জাতিসংঘে আলোচিত হবে।
