সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ আটটি বগি লাইনচ্যুত ও আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদসহ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পশ্চিমাঞ্চল রেল পাকশীর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শিপন সরকার, সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আখতার হোসেন, উল্লাপাড়া সার্কেল এএসপি গোলাম রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান।
তিনি বলেন, তদন্ত শেষে কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ বের করে পাঁচটি সুপারিশসংবলিত ২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার রাতে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে লুপ লাইনে ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে রেললাইনের স্টক রেল ও টাং রেল দুটি লক থাকার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে লক ছিল না। দুটো লাইনের মাঝখানে ফাঁকা ছিল। যে কারণে ট্রেনের ইঞ্জিন সেখানে এসে লাইনচ্যুত হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার আরো কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠনোর পরে তারাই প্রকাশ করবেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দুর্ঘটনার যে কারণগুলো পেয়েছি তা বিশ্লেষণ করে তা উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধের বিষয়ে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর বেলা ২টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগে এর ইঞ্জিনসহ আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগিতে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় আহত হন পাঁচজন।
