জেলা কমিটিগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে মনে করে প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে পাঁচটি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী নাসরিন শওকত। প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নাসিমা আক্তারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ সংবাদদাতা ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগ) মাহফুজা জেসমিন, ব্লু ইন্টারন্যাশনালের ইপিবির প্রকল্প পরিচালক হেজ স্মিথ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি মাহফুজা জেসমিন বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়ন করা জরুরি। এজন্য জেলা কমিটিগুলোকে সক্রিয় ও এর কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরির সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাতার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক সুরক্ষার জন্য জাতীয় সমন্বয় জরুরি।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন সংগঠনের সভাপতি নাছিমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমে এনসিডিডব্লিউ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব কমিটি, বিশেষত জেলা কমিটিগুলোকে সক্রিয় করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় জরুরিভিত্তিতে পাঁচটি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে জেলা কমিটিগুলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি। এছাড়া জেলা কমিটির নিয়মিত প্রতিবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা; কমিটির ত্রৈমাসিক সভাগুলোর কার্যবিবরণী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা; জেলা কমিটিগুলোর জন্য আলাদা লোকবল ও বাজেট দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় সমন্বয় কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের নেতারা।