৫৬ রানে ব্যাট করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ‘বিস্ময় বালক’ নাসিম শাহর করা ১৪৩ কিলোমিটার বেগের গুড লেংথের বলে ওয়ার্নার ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। কিন্তু নো বলের কারণে আউট হয়ে বেঁচে গেলেন এ ওপেনার। জীবন পাওয়া ওয়ার্নারকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হলো না। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে প্রথমে শতক ও পরে অপরাজিত থাকলেন ১৫১ রানের ইনিংস খেলে।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ওয়ার্নার ছোট দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ভালো করলেও টেস্টে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে ১০ ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ৯৫। কিন্তু ঘরের মাঠে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরলেন তিনি। ১৮০তম বলে আদায় করে নেন ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ফেরার দিন ওয়ার্নার ব্যাট থেকে দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন জো বার্নসের কাছ থেকে। ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন বার্নস। তবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে রেখে ৭২ রানের লিড নিয়েছে অসিরা। স্বাগতিকরা দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৩১২ রানে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয় ২৪০ রানে।
ব্রিসবেন গ্যাবায় দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই নিজেদের ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। এদিন সবার চোখ ছিল ১৬ বছর বয়সী নাসিম শাহর ওপর। গতির ঝড়ের কারণে আগে থেকেই তাকে নিয়ে চলছিল তুমুল আলোচনা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে তার হাতে বল তুলে দিলেন অধিনায়ক আজহার আলী। ওয়ার্নারকে সামনে পেয়ে প্রথম বল করলেন ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে। প্রথম ওভারেই বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে নিয়ে এত মাতামাতি। যদিও দিন শেষে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। ওয়ার্নারের উইকেটটি পেয়ে গেলে হয়তো দিনটা তার জন্য অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু জীবন পাওয়া ওয়ার্নার এরপর আর কোনো ভুল করেননি। বার্নসকে সঙ্গে নিয়ে ২২২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ম্যাচের লাগাম রাখলেন নিজেদের হাতে। ইয়াসির শাহর বলে ৯৭ রান করা বার্নস ফিরে গেলে ভাঙে এ জুটি। এরপর অবশ্য দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি ওয়ার্নার ও মার্কুস লাবুশেনে। দুজন মিলে শেষ করে দেন দ্বিতীয় দিনের খেলা। ২৬৫ বলে ১০ চারে ওয়ার্নার অপরাজিত আছেন ১৫১ রান করে। ৫৫ রান করে উইকেটে আছেন লাবুশেনে। দিন শেষ অবশ্য ভাগ্যকেও কিছুটা কৃতিত্ব দিয়েছেন ওয়ার্নার। নো বলে জীবন পাওয়া এ ব্যাটসম্যান শেষ বেলায় বোল্ড হতে পারতেন ইমরান খানের বলে। কিন্তু বেল