বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আফ্রিকান ফুটবলারের সংখ্যা কমলেও এখনো সংখ্যায় ওই মহাদেশীদের প্রাধান্য। কোটার কারণে এশিয়ান মহাদেশের খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ছে। এ কোটায় মধ্য এশিয়ার রাজত্ব। সবে শেষ হওয়া প্রিমিয়ার লিগের দলবদলে ১৩ ক্লাবে নিবন্ধিত হয়েছেন ২৫ দেশের ৬৪ খেলোয়াড়। উল্লেখযোগ্য বিষয়, এবার বিদেশী ডিফেন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটা সময় আক্রমণভাগেই বিদেশী নির্ভরতা দেখা গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের ফুটবলারের সংখ্যাও।
বাংলাদেশ ফুটবল পেশাদার যুগে প্রবেশের পর আফ্রিকানরাই এখানে আধিপত্য বিস্তার করেছে; বিশেষ করে নাইজেরিয়ান ফুটবলাররা। গত মৌসুমে মোট বিদেশী ফুটবলারের সংখ্যা ছিল ৫১। আফ্রিকার ছয় দেশ থেকে ২৪ ফুটবলার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন; ১৪ জনই ছিলেন নাইজেরিয়ান। এবার নাইজেরিয়ান ফুটবলারের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২-তে। মিসরসহ আফ্রিকার নয় দেশ থেকে এবার বিদেশী ফুটবলার নিবন্ধন করানো হয়েছে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে এশিয়ার ১৪ খেলোয়াড় ছিলেন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোয়। পাঁচজন কিরগিজস্তানের, চারজন করে জাপান ও তাজিকিস্তানের। বাকি তিনজন ছিলেন উজবেকিস্তানের। এবার সংখ্যাটা বেড়ে ১৯-এ দাঁড়িয়েছে। আসন্ন মৌসুমের জন্য কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের জাতীয় দলের ছয় ফুটবলার বিভিন্ন ক্লাবে নিবন্ধিত হয়েছেন।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ছাড়া প্রিমিয়ার লিগের বাকি দলগুলো এবার বিদেশী ডিফেন্ডার নিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, রানার্সআপ ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, পুলিশ এফসি ও উত্তর বারিধারা ক্লাব একাধিক বিদেশী ডিফেন্ডার নিয়েছে।
গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে হারটা বসুন্ধরা কিংসের জন্য ছিল বড় অপ্রাপ্তি। ওই হারের কারণে এএফসি কাপে খেলার সুযোগবঞ্চিত হয়েছে হালের পরাশক্তিরা। রক্ষণভাগের সমস্যার কারণে এগিয়ে গিয়েও ঢাকা আবাহনীর কাছে তারা হেরেছিল ১-৩ গোলের ব্যবধানে। এদিকে গত লিগে সবচেয়ে বেশি ৬৪ গোল করেছে ঢাকা আবাহনী। লিগ টেবিলের শীর্ষ চার দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৮ গোল হজম করেছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গত মৌসুমের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী রক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা রক্ষণে অন্যতম দেশসেরাদের পাশাপাশি নিয়েছে বিদেশী ডিফেন্ডারও। ঢাকা আবাহনীও দুজন বিদেশী ডিফেন্ডারের ওপর আস্থা রাখছে। বিদেশী ডিফেন্ডারদের উপস্থিতির কারণে এবারের লিগ আরো জমজমাট হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
‘আসন্ন মৌসুম আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এজন্য ঘরোয়া সূচিতে ছন্দ রাখতে হবে। বারবার সূচি বদলে খেলার ছন্দপতন ঘটে’—বলেন অভিজ্ঞ কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। জাতীয় দলের সাবেক