নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে আবারো হিলি-দিনাজপুর ও হিলি-বগুড়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালক ও পরিবহন মালিকরা। গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ দুই রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকালও এসব রুটে কোনো বাস চলাচল করেনি। তবে হিলি-ঢাকা, হিলি-জয়পুরহাট রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হিলি-বগুড়া পথে বাস চলাচল শুরু হলেও বিকালের পর থেকে আবারো কর্মবিরতি শুরু করেন চালক ও বাস মালিকরা।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ওই পথে চলাচলরত যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বিশেষ করে ভারত থেকে দেশে ফেরা ওইপথের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশি। এসব রুটের যাত্রীরা বিকল্প উপায়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ইজিবাইকযোগে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বিকল্প পথ ব্যবহার করে ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরছেন।
বগুড়াগামী যাত্রী রতন কুমার বলেন, আমি ভারতে গিয়েছিলাম, আজ দেশে ফিরে দেখি বগুড়ার পথে বাস চলাচল বন্ধ। সকাল থেকেই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছি, অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর একটি বাস পেলেও কখন ছাড়বে তা নিশ্চিত নয়।
দিনাজপুরগামী যাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দিনাজপুরে যাব, এজন্য বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনি বাস বন্ধ, কীভাবে দিনাজপুর যাব এনিয়ে চিন্তায় পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে সিএনজিযোগে ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরছি।
বাসচালক রফিকুল ইসলাম জানান, নতুন আইনের কারণে আমাদের দ্বারা বাস চালানো সম্ভব হবে না। কোনো চালক ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। কিন্তু এখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই দায়ী করা হয় চালককে। আর তাতে কেউ মারা গেলে চালকের মৃত্যুদণ্ড বা আহত হলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া সড়কে পুলিশের হয়রানি তো রয়েছেই। আমাদের এত টাকা দেয়ার সামর্থ্যও নেই, আর আমরা বাস চালিয়ে জেলও খাটতে চাই না। তাই নতুন আইন সংস্কারের দাবিতে আমরা নিজেরাই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।
দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন হাকিমপুর স্ট্যান্ড কমিটির সদস্য ও চেইন মাস্টার রুঞ্জু হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের সাংগঠনিকভাবে বাস বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে নতুন আইনের ভয়ে কোনো চালক বাস চালাতে চাইছেন না। বাস চালানো থেকে বিরত থাকায় হিলি-দিনাজপুর ও হিলি-বগুড়া রুটে গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়