কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনের ফি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন মো. তারেক রহমান নামের এক শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার কুবির ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের এ শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া নোটিসটি পাঠান। এতে সমাবর্তনে অংশ না নিলে সনদ নেয়ার জন্য সমপরিমাণ ফি আদায়ের সিদ্ধান্তও পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। নোটিসটি কুবির উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
ওই আইনি নোটিসে বলা হয়, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ৩ হাজার ৫৪০ টাকা এবং স্নাতকোত্তরে ৪ হাজার ৫০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। এমনকি সমাবর্তনে অংশ না নিলেও পরে সনদ নিতে সমপরিমাণ ফি দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে, যা বেআইনি। শিক্ষাজীবন শেষ করে যেসব শিক্ষার্থী এখনো বেকার, তাদের জন্য এই ফি ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’র মতো।
এতে আরো বলা হয়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ২ হাজার এবং স্নাতকোত্তরে ৩ হাজার টাকা ফি নেয়া হয়। আর সনদ নিতে ফি রাখা হয় ৩০০ টাকা। তাই সমাবর্তনের ফি কমানোর বিষয়ে নোটিস পাঠানোর তারিখ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুবি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান নোটিস প্রেরণকারী।
অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, সংশ্লিষ্টদের বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ফি-সংক্রান্ত আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। আশা করি, তারা এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন।
এ বিষয়ে কুবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমরা নোটিস এখনো হাতে পাইনি, তবে এ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। হাতে পেলে আমরাও সেভাবে আইনি ব্যবস্থা নিব। ফির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কুবির সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফি সমন্বয় করে সমাবর্তনের ফি নির্ধারণ করেছি।