বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের সরবরাহ সংকট চলছে। যার প্রভাব পড়েছে দামের ওপর। চলতি মাসে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের বাণিজ্য বা জিডিটির দ্বিতীয় নিলামে মূল্যসূচক গড়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি টনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৮১ ডলার। আর আগের নিলামের তুলনায় এ সময় দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। খবর রয়টার্স।
জিডিটি মূল্যসূচক অনুযায়ী, এ সময় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ। এ-জাতীয় দুধের মূল্যসূচক এ সময় ২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে প্রতি টন ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩২১ ডলারে, যা তিন বছরের সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ননিমুক্ত গুঁড়ো দুধের মূল্যসূচক ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় প্রতি টন ননিমুক্ত গুঁড়ো দুধ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ১৭ ডলারে।
অন্যদিকে সর্বশেষ নিলামে রেনেট কেসিনের মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময় প্রতি টন রেনেট কেসিন বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৮ ডলারে। পনিরের মূল্যসূচক ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন বিক্রি হয় ৩ হাজার ৭০১ ডলারে। আর ল্যাকটসের মূল্যসূচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৭৭৫ ডলারে।
তবে এসবের বিপরীতে এ সময় কমেছে ঘির দাম। মূল্যসূচক ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এ সময় প্রতি টন ঘি বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ১০৮ ডলারে। এছাড়া মাখনের মূল্যসূচক কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময় প্রতি টন মাখন বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬১ ডলারে।
বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের সবচেয়ে বড় নিলাম বসে নিউজিল্যান্ডে। প্রতি মাসে দুবার করে এ নিলাম ডাকা হয়। নিউজিল্যান্ডের ফন্তেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ এ নিলামের আয়োজন করে। বিশ্বের বড় বড় দুগ্ধপণ্য প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নেয়। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামে ৩৭ হাজার ৯৬৮ টন দুগ্ধপণ্য বিক্রি হয়েছে, যা তার আগের নিলামের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ কম।
অন্যদিকে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে নিউজিল্যান্ড মিল্ক কো-অপারেটিভ। যে কারণে এ নিলাম নিউজিল্যান্ডের ডলারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দেশটির জিডিপির ৭ শতাংশ আসে দুগ্ধ খাত থেকে। সর্বশেষ বুধবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মান বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।
সর্বশেষ এ নিলামের