বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) আয়োজনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান’-এর ওপর দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্টের সুপারিশ ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আনুষ্ঠানিকভাবে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ওই সময় তিনি বলেন, ১০ বছর আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলাম। তখন অনেকেই বুঝতে পারেনি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ কী? তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা তাদের ভুল প্রমাণ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আজ যা দেখছেন তা ডিজিটাল বাংলাদেশের সামান্য কিছু। আরো অনেক কিছু আমরা করেছি এবং সামনে করব।
বিসিসি আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম। বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হেন-জু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. মামুন-আল-রশীদ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের পরিচালক মো. মনির হোসেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল আলম বলেন, দেশে শক্তিশালী একটি সরকারি ই-গভর্নমেন্ট ইকো সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান অত্যন্ত কার্যকরী এবং টেকসই ভূমিকা পালন করবে। এটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার আইসিটি সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট জরিপ-২০১৮ অনুসারে, বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট র্যাংকিংয়ে পঞ্চাশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বিশ্বের মাত্র ৪৫টি দেশে ওয়ানস্টপ প্লাটফর্ম ছিল। ২০১৬ সালে এটি ৯০-এ উন্নীত হয়।
জিয়াউল আলম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৪০ শতাংশের বেশি সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালু রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ সেবা অনলাইনে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে পার্থপ্রতিম দেব বলেন, সরকারের লক্ষ্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবাগুলো জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান পূর্ণরূপে বা?
