ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় আড়াই হাজার কোটি ডলার মূল্যের তেল ও গ্যাসক্ষেত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে এক্সনমবিল। বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য সে পথে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ জ্বালানি জায়ান্টটি। খবর রয়টার্স।
এ বিক্রির ফলে তেল কোম্পানিটির পূর্ববর্তী বিলগ্নীকরণ পরিকল্পনাগুলো ত্বরান্বিত করতে পারবে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড্যারেন উডসের বেশকিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্পদ বিক্রি করছে কোম্পানিটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর চেয়ে এক্সনের শেয়ার ততটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। সম্পদ বিক্রির এ সিদ্ধান্তের ফলে কোম্পানিটি নতুন খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে এবং অসন্তুষ্ট বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমন করতে পারবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ব্যাংকিং খাতের তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, বিক্রির ফলে ইউরোপে তেল ও গ্যাস ব্যবসা কার্যকরভাবে গুটিয়ে নিতে পারবে এক্সনমবিল। এর ফলে তারা গায়ানা, মোজাম্বিক, পাপুয়া নিউ গিনি, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় নগদ তহবিল পাবে কোম্পানিটি।
কী পরিমাণ সম্পদ বিক্রি হবে, সে বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মন্তব্যে অস্বীকৃতি জানান এক্সনের এক মুখপাত্র। তবে কোম্পানিটি ওয়াল স্ট্রিটকে সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে আড়াই হাজার কোটি ডলার সম্পদ বিক্রি করতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনের পর বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানিটি বিলগ্নির জন্য বিশ্বের অন্তত ১১টি দেশে বিভিন্ন সম্পদ বাছাই করেছে। যদি তা হয়, তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে দেড় হাজার কোটি ডলারের যে বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা তার চেয়ে বেশি হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বৃহৎ বিলগ্নীকরণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নরওয়েতে ৪৫০ কোটি ডলার বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নাইজেরিয়া ও মালয়েশিয়ায়ও সম্পদ বিক্রি এগিয়ে নিচ্ছে মার্কিন কোম্পানিটি।
এক্সন তার সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে ব্রিটিশ নর্থ সি, জার্মানি ও রোমানিয়ায় কার্যক্রম বিক্রি করে দেবে বলে জানায় সূত্রগুলো। ফলে ইউরোপে শুধু নেদারল্যান্ডসে এক্সনের কার্যক্রম বহাল থাকবে। রয়াল ডাচ শেলের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রনিংনগেন গ্যাসক্ষেত্রে শেয়ার রয়েছে এক্সনমবিলের। অবশ্য ২০২২ সালের মধ্যে ওই গ্যাসক্ষেত্রটি বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে ডাচ সরকারের।
নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকেও লগ্নি উঠিয়ে নেয়ার কথা ভাবছে এক্সন। সূত্রগুলো বলছে, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় সম্পদ বিক্রি করে