স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে হাজার হাজার বছর ধরে অসাধারণ বটিকা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল। শরীর থেকে শুরু করে নানা উপাদেয় খাবার তৈরির মোক্ষম এ উপাদান এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে বিশ্বস্ততা ধরে রেখেছে। নানা গুণাগুণে ভরপুর এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের এমন কিছু মোহময় গুণ রয়েছে, যা চুল কিংবা ত্বকের যত্নে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে সক্ষম। আজকের আয়োজনে দেখে নেয়া যাক হূদযন্ত্র, চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যকর যত্নে অলিভ অয়েলের ছয় ব্যবহার—
হূদযন্ত্রের সুস্থতায়
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো ও ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি হূদরোগীদের জন্য অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্বল হার্টের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি হিসেবে প্রয়োজনীয় চর্বির জোগান দেয় অলিভ অয়েল। এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের সঙ্গে রোজমেরি পাতার সংমিশ্রণ দিয়ে বানানো উপাদান হূদযন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। ছোট একটি কড়াইয়ে দেড় কাপ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, ৮-১০টি শুকনা রোজমেরি পাতা, সামান্য সামুদ্রিক লবণ ও গোলমরিচ নিন। এরপর তাপ দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত পর্যাপ্ত গরম হয়। কিছুক্ষণ পর চুলা থেকে নামিয়ে নির্যাসটুকু নিন এবং বোতলে সংরক্ষণ করুন। এরপর সালাদ, স্যুপসহ অন্যান্য পছন্দের খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করুন।
রুক্ষ হাতকে মসৃণ রাখতে
রুক্ষতা থেকে হাত মসৃণ রাখতে এক টেবিল চামচ করে এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, অর্গানিক ঘি, চার ভাগের এক টেবিল চামচ ভিটামিন ই অয়েল এবং ৫ থেকে ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলের মিশ্রণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ মিশ্রণ হাতের তালু, নখ হাতের ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে।
নিরাপদ শেভের উত্তম নিশ্চয়তা
শেভ করার ক্ষেত্রে রাসায়নিক নানা উপাদানে তৈরি পণ্যের ব্যবহার বেড়ে গেছে। কিন্তু এর স্বাস্থ্যঝুঁকিও কম নয়। এক্ষেত্রে নিরাপদভাবে শেভের জন্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল শক্তিসমৃদ্ধ এমন তেল তৈরি করা যায়, যা দুশ্চিন্তামুক্ত থেকেই শেভের সময় ব্যবহার করা যায়। এ পথ্য তৈরির জন্য শুরুতে ছোট একটি প্লাস্টিকের পাত্রে আধা কাপ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা সিডারউড এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনমতো ব্যবহার করুন।
কাঁটাছেঁড়া ত্বকের যত্নে
শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে বা আঁচড় লাগলে অলিভ অয়েল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে ঘরে বসেই প্রাকৃতিকভাবে ওষুধ বানিয়ে নিতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন হবে এক্স?