অপুষ্টিতে খর্বকায় চা বাগানের ৪৫% শিশু

দেবাশীষ দেবু সিলেট

ন্যূনতম স্যানিটেশন সুবিধা নেই। অনুপস্থিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা। পুষ্টির বিষয়টি প্রায় অচেনা। অপুষ্টি তাই নিত্যসঙ্গী চা শ্রমিকদের পরিবারে। নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিক।

চা বাগানের জীবন (পর্ব-)

পাঁচ বছর আগে মা হন কুলাউড়ার লুহাইনি চা বাগানের শ্রমিক সীমা উড়াং। এর দুই মাসের মাথায় কাজে ফিরতে হয় তাকে। চা বাগানে কাজে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হয় শিশু অনিল উড়াং। এর প্রভাব পড়ে তার বেড়ে ওঠায়। বয়স পাঁচে পড়লেও অনিল দেখতে এখনো দুই-আড়াই বছরের শিশুর মতো। উচ্চতা দুই ফুটও অতিক্রম করেনি।

বয়স অনুযায়ী উচ্চতা বাড়ছে না শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের শিশু কাজল পাল জলি রবিদাসের। বেঁটে বলে প্রায়ই উপহাস শুনতে হয় কাজলকে। তাই অধিকাংশ সময়ই মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকে সে।

কাজল, জলি সীমার মতোই অবস্থা চা বাগানের ৪৫ শতাংশের বেশি শিশুর। যদিও পুষ্টি পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ায় কমে আসছে খর্বকায় শিশুর হার। দুই বছর আগে সারা দেশে ৩১ শতাংশ শিশু খর্বকায় থাকলেও এখন তা ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

বৈশ্বিক মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএস) অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অংশের জরিপ চলতি বছর সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এতে কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আর অর্থায়ন করেছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলতি মাসেই শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী খর্বকায় শিশুর হার ২৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ২০১৮ সালের হেলথ বুলেটিনে হার দেখানো হয়েছে ৩১ শতাংশ।

সিলেট বিভাগের চা জনগোষ্ঠী নিয়ে প্রথমবারের মতো আলাদা জরিপ করা হয় গত বছর। ইউনিসেফের সহযোগিতায় বিবিএস পরিচালিত জরিপের ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সিলেটের চা বাগানের শিশুদের অপুষ্টির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। জরিপের ফল বলছে, চা বাগানের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪৫ দশমিক শতাংশ খর্বকায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্প মজুরি, ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবার অভাব মাতৃত্বকালীন সেবার অপ্রতুলতায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে চা শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। এর প্রভাব বেশি পড়ছে শিশুদের ওপর। খর্ব শীর্ণকায় হয়ে বেড়ে উঠছে তারা।

ইউনিসেফের পুষ্টিবিষয়ক কার্যক্রমের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন