উপকূলের ২৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেবে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার নয়টি উপকূলীয় উপজেলায় প্রায় ২৭ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেবে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় সেবা দেবে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের দাতা সংস্থা ইউকে এইডের সহযোগিতায় প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ক্লিনিক) ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হাসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা (পরিকল্পনা) বিভাগের যুগ্ম প্রধান ডা. মো. মহিউদ্দিন ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা গবেষণাবিষয়ক পরিচালক ডা. মো. ইকবাল কবির এবং পরিচালক (এমসিএইচ- সার্ভিসেস) লাইন ডিরেক্টর (এমসি-আরএএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং ইউকে এইড কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, উপকূলবর্তী সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টা। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো কষ্টসাধ্য। আশা করি, প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসুবিধা প্রাপ্তির হার বাড়াতে প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হাসান বলেন, দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির হার এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবাগুলোর মানোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রকল্পের ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস পাবে।

ইউকে এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুডিথ হারবার্টসন বলেন, অঙ্গীকারবদ্ধ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাজ্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করে চলেছে। প্রকল্পটি মূলত স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাদাতা কর্তৃপক্ষ এলাকায় স্বাস্থ্য সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া প্রকল্পটি প্রতিবন্ধীসহ উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশগত অবক্ষয়ের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করবে।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম মুসা প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমাদের লক্ষ্য উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য জলবায়ু সহনশীল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যার মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সব খাতের স্বাস্থ্যসুবিধা সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন