বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর’স অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সদস্যরা গত অর্থবছরে ১৪৪টি দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি করছে।
এ রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানির পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে রফতানি আয় ১০০ কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাপা।
গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সপ্তম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০১৯।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্য সংযোজন করে রফতানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।
এ মেলা আমাদের আশা দেখাচ্ছে, আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষি সন্নিকটে।
আমার বিশ্বাস, বাপা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী বছর এ মেলায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।
বাপার সভাপতি ফখরুল ইসলাম মুন্সির সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) বিশ্বদ্বীপ দে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাইয়েদা সরোয়ার জাহান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ ও ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো মেলা কমিটি-২০১৯-এর চেয়ারম্যান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী এবং এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. ফা হ আনসারী।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বাণিজ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান ধরে রাখতে সরকার সবসময় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত ও এর সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিকাশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো বেগবান হবে।
দেশের প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশে কাজ করে যাওয়ার জন্য এ সময় প্রাণ গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সরাসরি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের সঙ্গে যুক্ত ১৫টি দেশের প্রায় ৩০০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। আগের ছয়বার মেলায় দর্শনার্থী ও দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দারুণ সাড়া