তীব্র যানজটে বেনাপোল স্থলবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে ও প্রধান সড়কের আশপাশের সড়কে যানজটে পথচারীসহ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল থেকে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড করতে আসা কয়েকশ ট্রাক একসঙ্গে বন্দরে প্রবেশ ও ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকায় বুধবার সকাল থেকে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল এলাকায় ভয়াবহ ট্রাক সংকট দেখা দেয়। পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার হলে গতকাল সকাল থেকে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য চালান খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। একসঙ্গে সব ট্রাক প্রবেশ করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, বন্দর থেকে মালামাল ডেলিভারি নেয়ার জন্য গতকাল সকাল থেকে শত শত ট্রাক বন্দরের বিভিন্ন গেটে অবস্থান করছে। ট্রাক ও ক্যাভার্ড ভ্যান ধর্মঘটের প্রভাবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক ও ক্যাভার্ড ভ্যানের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ১৭ হাজার টাকার ভাড়া এখন ২৮-২৯ হাজার টাকা পড়ছে।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রকিবুল হাসান বলেন, অন্যান্য দিন ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা জমা হলেও গতকাল
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২০ কোটির বেশি রাজস্বের টাকা জমা পড়েছে এ শাখায়।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, বেনাপোল বন্দরে দৈনিক গড়ে ১৫ থেকে ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। ধর্মঘটে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক আমদানিকারক পণ্য খালাস নেন না। তবে বুধবার প্রায় ৭০ ট্রাক পণ্য খালাস করে ট্রাক বন্দর থেকে ছেড়ে গেছে। একদিন বন্ধ থাকলে রাজস্ব ঘাটতি দেখা দেয়। তবে পরের দিন তা সমন্বয় হয়ে যায়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এ রকম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস করা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাতের মধ্যেই সব শুল্ক পরিশোধকৃত পণ্য খালাস দেয়া হবে।