সুয়েজ খাল

বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৃত্রিম জলপথ

মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রাজনীতিকে প্রভাবিত করে মানবসৃষ্ট যেসব অবকাঠামো, তারই একটা হলো সুয়েজ খাল। সুয়েজ খালের প্রকৃত নাম হে সুয়েজ ক্যানেল। আরবিতে একে ডাকা হয় কানাত আল-সুয়াইস। সুয়েজ খাল বিশ্বের অন্যতম কুত্রিম খাল। ভূমধ্যসাগর আর লোহিত সাগরের সংযোগ খাল। প্রথম খননের সময় এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৬৪ কিলোমিটার প্রস্থ আট মিটার। এরপর কয়েকবার সংস্কারের পর বর্তমানে সুয়েজ খালের দৈর্ঘ্য ১৯৩ দশমিক কিলোমিটার প্রস্থ ২০৫ মিটার। খালটি মিসরের সুয়েজ ক্যানেল অথরিটির মালিকানাধীন। বিশ্বে সুয়েজ খালের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রভাব যে কত প্রবল, তা এর উপকারিতা থেকেই বোঝা যায়। খালের কারণে ইউরোপ ভারতের মাঝে সমুদ্রপথের দূরত্ব প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার কমে গেছে। খাল দিয়ে না এলে কোনো জাহাজকে ইউরোপ থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় আসতে হলে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসতে হবে। ১৯৫৫ সালের দিকেই ইওরোপের মোট তেলের দুই-তৃতীয়াংশই সুয়েজ খাল দিয়ে পরিবহন করা হতো। বর্তমানে বিশ্বের সমুদ্র বাণিজ্যের শতকরা দশমিক ভাগই সুয়েজ খালের মাধ্যমে হয়। ইজিপ্ট সুয়েজ ক্যানেল অথরিটির (এসসিএ) রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৩ সালেই ১৭ হাজার ২২৪টি জাহাজ সুয়েজ খাল দিয়ে পার হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর শিপিং ট্রাফিকের শতকরা ভাগই হয়েছে খালটি দিয়ে। এক হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালে সুয়েজ খাল দিয়ে ১৭ হাজার ২২৫টি জাহাজ যাতায়াত করেছে, অর্থাৎ দিনে গড়ে ৪৭টি। মূলত মুখ্যত সুয়েজ খাল বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বর্তমানে একটি লাইফলাইনে রূপ নিয়েছে। খালটি তার অনন্যভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্ববাণিজ্যপ্রবাহের প্রধান প্রবেশদ্বার এবং একটি প্রধান শিপিং গন্তব্য হতে পেরেছে। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সুয়েজ খাল শান্তিকালীন সময় অথবা যুদ্ধকালীন সময়, সবসময়ই যেকোনো দেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক বা যুদ্ধজাহাজের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সুয়েজ খাল বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। আরব, মিসর এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ সেচ কৌশলগত সামরিক সুবিধার জন্য এর সাহায্যে খালটি থেকে উপকৃত হয়েছিল। সুয়েজ খালের সুবিধাপ্রাপ্ত অবস্থানের কারণে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে কূটনৈতিক সংকট এবং কখনো কখনো বড়সড় যুদ্ধের ঘটনাও ঘটেছে। যদিও আকাশপথেই এখন বিশ্বব্যাপী মানুষ সম্পদ দ্রুত পরিবহনের সুযোগ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন