ফরিদপুর মেডিকেলে দুর্নীতি

টেন্ডারের এক বছর আগে ওপেনিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য দরপত্র চেয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিতেই দরপত্র খোলার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর। শুধু তা- নয়, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায়ও হয়েছে দুর্নীতির মহোৎসব, যাকে রীতিমতো পুকুরচুরি আখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপন করা একটি প্রতিবেদনে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেনাকাটায় অনিয়ম দুর্নীতির এসব তথ্য উঠে এসেছে। দুর্নীতি অনিয়ম অধিকতর তদন্তে একটি সাব-কমিটি গঠন করেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদীয় কমিটিকে দেয়া ওই প্রতিবেদনে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের একটি দরপত্রের বিষয়ে বলা হয়েছে, একটি ইংরেজি দৈনিকে ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ওই দরপত্র খোলার সময় দেয়া হয়েছে তার এক বছর আগে ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর। এতে ওই টেন্ডারের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ করে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এটাকে অবাস্তব অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়ে, মন্ত্রণালয়ের স্মারকে একটি কোড থেকে অর্থ ব্যয়ের জন্য ছাড় দেয়া হলেও অন্য কোডে ওই অর্থ খরচ করা হয়েছে। সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতির ছবি -মেইলের মাধ্যমে সংগ্রহের পর তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১০টি আইটেমের বিপরীতে ১০ কোটি টাকার যে দুটি বিল করা হয়েছে, তাও বাস্তবসম্মত নয়। থ্রি হেড কার্ডিয়াক স্টেথোস্কোপের ইউনিট মূল্য লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো হয়েছে বিলে, যা বাস্তবসম্মত  নয়। বাজারদর যাচাই না করেই চড়া মূল্য দাখিল করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

দরপত্র কমিটিতে উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর নেই উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রেনপনসিভ তিনটি দরদাতার মধ্যে দুটির মালিকই একই ব্যক্তি। মেডিকেল সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) সামগ্রী কেনার জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও কেনা হয়েছে অন্য যন্ত্রপাতি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কোটি টাকার উপরে কেনাকাটার জন্য সচিবের অনুমতি নেয়ার কথা থাকলেও ১০ কোটি টাকার কেনাকাটার

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন