আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মাশুল জনস্বার্থে মওকুফ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। গতকাল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, আকাশপথে
যেকোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা মাশুল দিতে হয়, যা
পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে মওকুফ করা হলো।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
মহিবুল হক বলেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য
জনস্বার্থে যতদিন এভাবে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে, ততদিন
পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এ মাশুল মওকুফের ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ
আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত, মিসর
থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৩৮০২ ফ্লাইটে মঙ্গলবার (১৯
নভেম্বর) দিবাগত রাতে দেশে পৌঁছার কথা থাকলেও আসেনি। কার্গো ফ্লাইটে মিসর, তুরস্ক
ও চীন থেকে পেঁয়াজ আসার কথা থাকলেও পেঁয়াজ লোডিংয়ে সমস্যা হওয়ায় তা ২৪ ঘণ্টা
পিছিয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে
পাকিস্তান থেকে আকাশপথে পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে।
