বরিশালে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম কাওসার হোসেন (২৯)। তিনি জেলার বানারীপাড়া উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত শহিদ হোসেনের ছেলে। জামিন নিয়ে তিনি পলাতক। রায় ঘোষণার পর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের স্পেশাল পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০০৯ সালে আসামির সঙ্গে বাদী ময়না বেগমের ছোট বোন মাহমুদা আক্তার পাখির (২০) সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই পাখিকে মারধর করতেন কাওসার। এর পরও নির্যাতন থেকে বাঁচাতে ধারদেনা করে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তার পরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এর মধ্যে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন পাখি। যৌতুকের জন্য ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে পাখিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন কাওসার। ওইদিন ভিকটিম মাহমুদা আক্তার পাখির বড় বোন ময়না বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল থানার এসআই রুস্তম আলী মৃধা কাওসারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন।