বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন আগামী এপ্রিলে। নির্বাচনকে ঘিরে অনেক আগেই উত্তাপ শুরু হয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী হাওয়া বইয়ে দিল চট্টগ্রাম আবাহনী।
ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে তরফদার রুহুল আমীনকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে; যিনি ক্লাবের সহসভাপতি ও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল চট্টগ্রাম আবাহনীর বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিনিধি হিসেবে গত নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। এবার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন সাহেব নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ক্লাবের তরফ থেকে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে’—গতকাল বণিক বার্তাকে বলছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী।
তরফদার রুহুল আমীন দীর্ঘদিন ধরেই ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন। তার প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে খেলছে। তরফদার রুহুল আমীন একই সঙ্গে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে আছেন। অনেকদিন ধরেই ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন ছিল—তিনি আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন। গতকাল চট্টগ্রাম আবাহনীর বোর্ড সভার পর সে গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নেয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করল।
‘তরফদার রুহুল আমীন সভাপতি পদ না অন্য কোনো পদে প্রার্থী হবেন, সেটা তিনিই বলতে পারবেন। আগামী দিনে হয়তো ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তা চূড়ান্ত করবেন। আমরা আপাতত ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে মনোনীত করেছি’—এক প্রশ্নের জবাবে বলছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ফুটবল ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভার আগে বর্তমান ক্ষমতাসীন ও তরফদার রুহুল আমীন অনুসারীদের মাঝে আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, এ নিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করে অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সম্পন্ন হয় সাধারণ সভা। পরবর্তী সময়ে ধারণা করা হচ্ছিল, সাধারণ সভার পর নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনা ও গুঞ্জন কমে আসবে। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর বোর্ড সভার পর সে ধারণাও বদলে গেল।
তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিটি। প্রায় এক যুগ সময়ে নানা কর্মকাণ্ডে এ কমিটির বিপক্ষে একটা শক্তি তৈরি হয়েছে। সে শক্তি হয়তো তরফদার রুহুল আমীনের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে একত্র হবে। কেবল তো