কলকাতায় গোলাপি বলের দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। উইকেট কেমন হবে, বলের আচরণ কেমন হবে—এসব নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও মেতে আছেন আলোচনায়। তবে এখন পর্যন্ত ইডেনের ২২ গজ থেকে সবচেয়ে বেশি সুখবর আসছে পেসারদের জন্য। সবুজের আভায় গতি ও সুইংয়ের ঝড় দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণে দুই দলেই হয়তো দেখা যাবে পেসারদের আধিক্য। তাই বলে অবশ্য বসে নেই বাংলাদেশের স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। কলকাতা টেস্টে যেটুকু সুযোগ আছে, সেটুকুই বাজিমাতের জন্য তৈরি করছেন সেনানীদের। এর মাঝে গতকাল মুখোমুখি হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমেরও। যেখানে দিনের আলোর চেয়ে কৃত্রিম আলোতেই বেশি চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি। বিশেষ করে গোধূলি লগ্নে লড়াই জমে উঠতে পারে বলে বিশ্বাস তার।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভেট্টোরি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিনের আলোয় গোলাপি বল অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিকই থাকবে। তবে চ্যালেঞ্জ হবে কৃত্রিম আলোয়। অবশ্যই এখানে দ্রুত সূর্য ডুবে যায়। আমার ধারণা, সেটা ৪টা ৩০ মিনিট হতে পারে। তখন গোলাপি বল কেমন আচরণ করে, সেটা দেখার বিষয় হবে।’
মূলত গোলাপি বলের ক্রিকেটে গোধূলি লগ্নে ম্যাচ জমে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সাবেক এ কিউই স্পিনার, ‘গোলাপি বলে আমার অভিজ্ঞতা বলতে কেবল টেলিভিশনের দেখা। তবে গোধূলিলগ্নে এটা একটু বেশি কার্যকর হতে পারে। আমার মনে হয়, টেস্টের ওই সময়টায় দলগুলো টেকনিক্যালি বিভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবে। আমার ধারণা, শেষ দেড় সেশন খুবই উপভোগ্য হতে পারে।’
পেসাররা বেশি সুবিধা পেলেও স্পিনারদের এ উইকেটে সীমিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বলে মনে করছেন ভেট্টোরি। তিনি বলেন, ‘গোলাপি বলে স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সূর্যাস্ত এখানে দ্রুত হয়ে যায়। সে সময় পেসারের সঙ্গে একজন স্পিনারের ভূমিকা হবে রান আটকে রাখা।’ তবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের স্পিন দক্ষতাকেও এ সময় মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না ভেট্টোরি, ‘আমরা দেখেছি, মায়াঙ্ক (আগারওয়াল) ও (আজিঙ্কা) রাহানে আমাদের স্পিনারদের চাপে রেখেছিল। ইন্দোরের উইকেটে তাদের কিছু করার ছিল না। এখানেও সম্ভবত তেমনই থাকবে। সফরকারী স্পিনাররা এখানে দাপট দেখাতে পারে না, যতটা তারা নিজ দেশে পারে।’
নিজের বিভাগ নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হতে