কেবল প্রতিপক্ষ দলকে ঠেকানোই নয়, পাল্টা আক্রমণ শুরু হয় এ রক্ষণ থেকেই। হাল আমলে ভালো ফুটবল দল গঠনের অন্যতম শর্তই হলো মসৃণ রক্ষণ। এবার সে পথেই হাঁটল প্রিমিয়ার লিগের দুই শীর্ষ দল বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী।
কিংস মঙ্গলবার দলবদল কার্যক্রম সম্পন্ন করে গেছে। ওইদিন রক্ষণ নিয়ে বাড়তি মনোযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান। গতকাল ফুটবলার নিবন্ধন করানো ঢাকা আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু একই ব্যাখ্যা দিলেন, ‘গত মৌসুম আমরা প্রচুর গোল করেছি, বিপরীতে অনেক গোল হজমও করতে হয়েছে। আমাদের রক্ষণে সমস্যা ছিল। তা দূর করার জন্য আমরা সজাগ ছিলাম।’ গত লিগে বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কম নিয়ে রানার্সআপ হয় আবাহনী। কিংস লিগে ৫৪ গোল করে, হজম করেছে ১৪ গোল। অপরদিকে আবাহনী ৬০ গোল করলেও হজম করেছে কিংসের দ্বিগুণ, ২৮ গোল।
রক্ষণে গত মৌসুমে নির্ভরতার প্রতীক ছিলেন আফগানিস্তানের মাসিহ সাইঘানি। ভারতীয় ক্লাব চেন্নাইয়ান এফসিতে নাম লিখিয়েছেন এ ফুটবলার। তার পরিবর্তে চেন্নাইয়ান এফসি থেকে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মেলসন আলভেসকে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা। ইনজুরির আগ পর্যন্ত রক্ষণে আস্থার সঙ্গে খেলা তপু বর্মণ কিংসে যোগ দিয়েছেন। তার জায়গায় কিংস থেকে আবাহনী এনেছে বর্ষীয়ান নাসিরউদ্দিন চৌধুরীকে। বাড়তি সংযোজন মিসরের ডিফেন্ডার আলাদিন ঈসা। পুরনো মুখ টুটুল হোসেন বাদশা, ওয়ালী ফয়সাল, রায়হান হাসানরা রয়েছেন।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ দারুণ নৈপুণ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করলেও ইনজুরির কারণে শেষটা ছিল হতাশার। তপু বর্মণের মতো ফাহাদও ইনজুরি নিয়ে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখান। শূন্যতা পূরণে দলটি আস্থা রেখেছে শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার সোহেল রানার ওপর। মাঝমাঠে খেলা দক্ষিণ কোরিয়ান লি-কে ছেড়ে দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। তার জায়গায় জার্মান বংশোদ্ভূত কিরগিজস্তানের ফুটবলার এডগার বার্নহার্টকে নিবন্ধন করিয়েছে আকাশি-হলুদরা। মাঝমাঠে সোহেল রানা, মামুনুল ইসলামদের সঙ্গে থাকবেন ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবলার।
আক্রমণভাগে আছেন ঘরের ছেলে বনে যাওয়া সানডে চিজোবা। থাকছেন গত মৌসুমে এএফসি কাপে দুর্দান্ত হাইতির কেরভেন্স বেলফোর্ট। গত মৌসুমে ২০ গোল করে লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সানডে। অপরদিকে গোল করাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বেলফোর্টের। দুই বিদেশীর পাশে জাতীয় দলের দুই ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন ও সাদ উদ্দিনকে এবারো আকাশি