দূষণ হ্রাস

জাহাজের জন্য কম সালফারযুক্ত জ্বালানি উৎপাদনে নজর

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎপাদন বিক্রি বাড়িয়ে চলেছে পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে জাহাজ চলাচলের জন্য ব্যবহূত জ্বালানি গ্যাস অয়েলে (এমজিও) সালফার কমিয়ে আনতে জোরেশোরে কাজ করছে পরিশোধন কেন্দ্রগুলো। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে জাহাজে ব্যবহূত জ্বালানির মান নিশ্চিতে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কঠোর বিধিনিষেধ সামনে রেখে পরিচ্ছন্ন এসব জ্বালানি উৎপাদন করছে পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো। খবর রয়টার্স।

জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া আইএমওর নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী যেসব জাহাজে স্ক্যাবার (দূষণরোধক যন্ত্র) থাকবে না, সেসব জাহাজে দশমিক শতাংশের বেশি সালফারযুক্ত জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে না। যদিও ডিসেম্বর পর্যন্ত দশমিক শতাংশ সালফারযুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ ব্যারেল জ্বালানির প্রয়োজন হয়। নতুন বিধির ফলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ হাজার বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর এর প্রভাব পড়বে। অর্থাৎ এসব জাহাজকে আগামী জানুয়ারি থেকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ফলে নতুন করে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বড় বাজার তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

আইএমওর বিধিনিষেধ সামনে রেখে এরই মধ্যে অনেক পরিশোধন প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পরিশোধন প্রতিষ্ঠান চীনের সিনোপেক করপোরেশন পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবে তাদের ১০টি পরিশোধন কেন্দ্রে খুবই নিম্ন সালফারযুক্ত জ্বালানি তেল (ভিএলএসএফও) উৎপাদন শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের মধ্যে ভিএলএসএফওর উৎপাদন সক্ষমতা বছরে এক কোটি টনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। লক্ষ্য পূরণে আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে ১০০টি বার্জ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেসব বার্জ থেকে জাহাজে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া আরেক শীর্ষ তেল গ্যাস কোম্পানি প্রতিষ্ঠান পেট্রো চায়নাও ২০২০ সাল নাগাদ বার্ষিক ৪০ লাখ টন ভিএলএসএফও উৎপাদন করার কথা জানিয়েছে। চীনের পূর্ব উপকূলীয় ঝৌশান অঞ্চলে জাহাজে জ্বালানি সরবরাহের লাইসেন্স রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তবে ফ্রান্সের জ্বালানি তেল গ্যাস কোম্পানি টোটাল অঞ্চলে চীনের ঝেজিয়াং এনার্জির সঙ্গে যৌথভাবে জ্বালানি সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে জাহাজে জ্বালানি সরবরাহকারী চীনের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান চায়না মেরিন বাংকার চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এবং আগামী বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন) মোট ৪০ লাখ টন ভিএলএসএফও উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বন্ডেড স্টোরেজ থেকে চীনের অধিকাংশ প্রধান বন্দরগুলোয় ভিএলএসএফও সরবরাহ শুরু করেছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার এসকে এনার্জি পরিশোধন কেন্দ্র অক্টোবর থেকে মেরিন গ্যাস অয়েল (এমজিও) সরবরাহ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক ২৭ হাজার ব্যারেল পর্যন্ত এমজিও উৎপাদন করতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্যাস অয়েলের শতাংশ।

আইএমওর এই বিধিনিষেধ সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি এখন ভ্যাকুয়াম রেসিডিউ ডিসালফারাইজেশন (ভিআরডিএস) ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা করেছে। সেখান থেকে দৈনিক ৪০ হাজার ব্যারেল এলএসএফও উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এসকে এনার্জি চলতি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন