চিনি রফতানির ন্যূনতম কোটা পূরণের সময় বেঁধে দিল ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

চিনির অভ্যন্তরীণ মজুদ কমিয়ে আনতে মিলারদের ন্যূনতম রফতানি কোটা বা মিনিয়াম ইন্ডিকেটিভ এক্সপোর্ট কোটা (এমআইইকিউ) নির্ধারণ করে দেয় ভারত সরকার। কোটা অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ৫০ লাখ টন চিনি রফতানির কথা ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দা ভাব বজায় থাকায় মিলাররা সময়ের মধ্যে ৩৮ লাখ টন চিনি রফতানি করতে সক্ষম হন। অবস্থায় গত বিপণন মৌসুমের কোটার বাকি চিনি রফতানি করতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিলারদের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি দেশটির খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইকোনমিক টাইমস।

পরিপত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুমে যেসব মিলার এমআইইকিউ আংশিকভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি চিনি রফতানির মাধ্যমে কোটা পূরণে ভারসাম্য আনতে সময় দেয়া হলো। এরপর আর কোনো সময় দেয়া হবে না এবং এর ওপর নির্ভর করে চলতি বিপণন মৌসুমের কোটা নির্ধারণ করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বিপণন মৌসুমে দেশটি থেকে অধিকাংশ চিনি বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, ইরান, আফগানিস্তান শ্রীলংকায় রফতানি হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে দেশটিতে যাবত্কালের সর্বোচ্চ চিনি মজুদ রয়েছে। কোটি ৪৫ লাখ টন প্রারম্ভিক মজুদ নিয়ে অক্টোবর থেকে নতুন বিপণন বছর শুরু হয়েছে। মৌসুমে দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ধরা হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টন। এমআইইকিউ ধরা হয়েছে ৬০ লাখ টন।

মিলাররা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ৪০ লাখ টন চিনির ঘাটতি থাকায় বছর কোটা পূরণ করতে সক্ষম হবেন তারা। চলতি বিপণন মৌসুমে এরই মধ্যে ১০ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তিও হয়েছে। এছাড়া ইরান এশিয়ার কয়েকটি দেশে মৌসুমে চিনির চাহিদাও বেশি। ফলে এমআইইকিউয়ের লক্ষ্য পূরণ সহজ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুম্বাইভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রফুল ভিথালানি জানান, ১০ লাখ টনের মধ্যে অর্ধেক অপরিশোধিত অর্ধেক পরিশোধিত চিনি রফতানির চুক্তি হয়েছে। যেখানে ফ্রি অন বোর্ডে (এফওবি) ৩১০ ডলারে প্রতি টন অপরিশোধিত ৩১৩ ডলারে প্রতি টন পরিশোধিত চিনি বিক্রি করা হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বিপণন মৌসুমে দেশটিতে চিনির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমতে পারে। বিশেষ করে অন্যতম উৎপাদন এলাকা মহারাষ্ট্র কর্ণাটকে এবার আখের আবাদ কমায় উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। যে কারণে বছর চিনির উৎপাদন কমে দাঁড়াতে পারে কোটি ৮০ লাখ থেকে কোটি ৯০ লাখ টনে। যেখানে গত বছর উৎপাদন ছিল কোটি ৩১ লাখ টন।

অন্যদিকে চিনি উৎপাদকদের প্রধান ব্যবসায়িক সংগঠন ইন্ডিয়া সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন বা ইসমা জানিয়েছে, ২০১৯-২০ উৎপাদন মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে কোটি ৬০ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। দেশটিতে ৫৩৪টি মিল রয়েছে। যার মধ্যে থেকে উত্তর প্রদেশে এরই

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন