গুজবে লবণের বাজারে অস্থিরতা

যথাযথ তথ্য সরবরাহ ও তদারকি নিশ্চিত করা হোক

অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী, পণ্যের সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে আর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে। কিন্তু বাংলাদেশে সবসময় নিয়ম খাটে না। বর্তমানে বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, পেঁয়াজ ছাড়া কোনোটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। পেঁয়াজের দাম বাড়ার পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছিল যে ভারত রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। সময়মতো বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আনা গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাসাধারণের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা করতে পারতেন না। মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার জন্য অসাধু ব্যবসায়ী তথা সিন্ডিকেটকে দায়ী করলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা দুর্ভাগ্যজনক। এমনকি পরিস্থিতি যথাসময়ে অনুধাবনেও ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে কথাও সত্য, বাজারের বর্তমান অস্থিরতার জন্য সরকারও কম দায়ী নয়। ব্যবসায়ীদের জরিমানা বা ভয়ভীতি দেখিয়ে আজকের যুগে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সহযোগিতামূলক মনোভাবই হতে পারে পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক। বাজার অর্থনীতির অমোঘ নিয়ম অনুযায়ী একটি পণ্যের দাম বাড়তির দিকে থাকলে ব্যবসায়ীরাই তার জোগান বাড়িয়ে ফেলেন, যেমনটি ঘটেছিল গত বছর চালের বাজারের ক্ষেত্রে। বন্যার কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত আমদানি করে দাম একেবারে নিচে নামিয়ে এনেছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় করলে তারা পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হন। এতে সংকট আরো বাড়ে। ব্যবসায়ীরা লাভ করবেন, মজুদও করবেন। সেটির লাগাম টেনে ধরতে হলে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাজারে সঠিক তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। সম্প্রতি গুজবে লবণের দাম বেড়ে যাওয়ার ঘটনাও আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। লবণের কোনো সংকট না থাকার পরও কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের আস্থা কি কমে এসেছে

পেঁয়াজের পাশাপাশি চাল, ভোজ্যতেল সবজির দামও বাড়ছে; যা সীমিত আয়ের মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু-একদিনের ব্যবধানে চিকন চালের কেজি - টাকা, মাঝারি চাল - টাকা বেড়ে যাওয়া খুবই অস্বাভাবিক। অন্যদিকে আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়। রসুন আগে থেকেই বাড়তির দিকে ছিল। সব সবজির দাম চড়া হলেও কৃষক লাভবান হচ্ছেন না। যে শিম ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সেই শিম যশোরে পাওয়া যায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এর পেছনেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালকলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশে চালের যথেষ্ট মজুদ আছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এখন বেশি করে চিকন চালের ভাত খাওয়ায় এর দাম বেড়েছে বলে মন্ত্রী যে তত্ত্ব দিয়েছেন, তা সত্য নয়। শুধু চিকন নয়, সব চালের দামই কম-বেশি বেড়েছে। মন্ত্রীর বক্তব্য বাজারে ভুল বার্তা দিতে পারে। এর আগে পেঁয়াজ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী শিল্পমন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য বাজারকে অস্থিতিশীল করেছিল। অতীতে দেখা গেছে, কোনো পণ্যের দাম বাড়লে মন্ত্রী-আমলারা ঘন ঘন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, বাজার তদারকি জোরদার করেছেন। এবার বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একবার বৈঠক করেই দায়িত্ব শেষ করেছেন। গত কয়েক বছর মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় থাকায় সরকার এক <

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন