পেঁয়াজের পর লবণ নিয়ে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এতদিন অস্থিরতা চলছিল পেঁয়াজ নিয়ে। গতকাল আরেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য লবণ নিয়ে শুরু হয় একই পরিস্থিতি। সরবরাহ সংকটের গুজবে দেশজুড়েই লবণ কেনার হিড়িক পড়ে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে দাম। ৩০ টাকা কেজি দরের লবণ কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

সারা দেশে লবণ নিয়ে লংকাকাণ্ডে নড়েচড়ে বসে মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর। দেশে লবণের কোনো সংকট নেই বলে প্রচার চালায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নিয়ে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও। তিনি বলেন, লবণের সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দাম বাড়ারও কারণ নেই। লবণের দাম বাড়াতে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী গুজব ছড়াচ্ছেন।

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই শঙ্কায় রয়েছেন ভোক্তারা। এর মধ্যেই লবণ সংকটের গুজবে পণ্যটির ক্রয় বাড়িয়ে দেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি লবণের প্যাকেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা লেখা থাকলেও রাজধানীর কোনো কোনো খুচরা বাজার মুদি দোকানে তা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কোনো কোনো দোকানি ১৫০ টাকা কেজি দরেও লবণ বিক্রি করেন।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামেও গতকাল লবণ কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ী এলাকার মেসার্স নিউ সন্দ্বীপ স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা বণিক বার্তাকে বলেন, বিকালে হঠাৎ করেই লবণ কিনতে ভিড় করেন খুচরা ক্রেতারা। সবাই তিন-পাঁচ কেজি পর্যন্ত লবণ সংগ্রহ করেন। দোকানে তিন বস্তা (প্রতিটি ২৫ কেজি) মোড়কজাত ব্র্যান্ডেড লবণ ছিল। ঘণ্টার মধ্যেই তা বিক্রি হয়ে যায়।

চট্টগ্রামের কোনো কোনো বাজারে গতকাল ১০০ টাকা কেজি দরেও লবণ বিক্রি হয়। নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার সিডিএ মার্কেটের মেসার্স জীবন গ্রোসারিতে বিকালে লবণ কিনতে চাইলে দোকানি প্রতি কেজি ৮০ টাকা দাম চান। সন্ধ্যার পর ফের লবণ কিনতে গেলে মজুদ নেই বলে জানানো হয়। দোকানের এক কর্মচারী বলেন, বিকালের মধ্যেই মজুদ লবণ শেষ হয়ে গেছে। প্রতি কেজি লবণ ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার নিয়ে অস্থিরতার সুযোগে একটি শ্রেণী

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন