এবার ধর্মঘটে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিকরা

পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে এবার আন্দোলনে যাচ্ছেন ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকরা। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ সকাল থেকে ধর্মঘট শুরুর কথা বললেও কার্যত গতকাল থেকেই কমে এসেছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। অন্যদিকে একই দাবিতে কয়েকটি জেলায় গতকাল তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল বাস চলাচল।

গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক রুস্তম আলী। তাদের প্রধান দাবি, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করে বিভিন্ন দণ্ড জরিমানার পরিমাণ মালিক-শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় চালকদের এককভাবে দায়ী না করা, বড় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের সক্ষমতা অনুযায়ী ওজন নিয়ে চলাচলের সুযোগ, সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, দ্রুততম সময়ে বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, পর্যাপ্ত টার্মিনাল নির্মাণসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণার পর পরই তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

ধর্মঘট ঘোষণার পর গতকাল দুপুর থেকেই পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল কমিয়ে দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা। নতুন করে কোনো ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহনের জন্য ভাড়া দেয়নি তেজগাঁওয়ের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিগুলো। একই অবস্থা দেখা গেছে ঢাকার অন্যান্য পণ্য পরিবহন এজেন্সিতেও। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় গতকাল পণ্যবাহী গাড়ি চলেছে সীমিত পরিমাণে। সুযোগে ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

স্থলপথে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হিলি স্থলবন্দর। স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে প্রতিদিন সাড়ে চারশ থেকে পাঁচশ ট্রাক প্রবেশ করলেও গতকাল সংখ্যা তিনশতে নেমে এসেছে। এই সুযোগে টনপ্রতি পণ্য পরিবহন ভাড়া ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ট্রাকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পণ্যজট তৈরি হওয়ার কথা জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।

ঘোষিত সময়ের আগেই ধর্মঘট কার্যকরের বিষয়ে জানতে চাইলে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, শাস্তি বিপুল অংকের জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে মালিক-শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি নামাতে চাইছেন না। এজন্য গতকাল সকাল থেকেই মালিক-শ্রমিকরা আমাদের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন। মালিক-শ্রমিকদ??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন